আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ যদি ইসরায়েলের সঙ্গে ‘বোঝাপড়া’ করতে চায় তবে কেয়ামত নামিয়ে আনা হবে। এমন অস্ত্র ইসরায়েলের কাছে আছে। এমনটাই বলেছেন, ইসরায়েলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান ইয়ের কাটজ। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ইয়াহুদ-মনোসন শহরে ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির শ্রমিক পরিষদের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ইয়ের কাটজ বলেন, ‘যদি আমরা বুঝতে পারি যে, আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে এবং ইরান, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা আমাদের বিরুদ্ধে বোঝাপড়া করার সময় এসেছে- এই অবস্থায় আমি মনে করি, আমাদের কেয়ামতের নামিয়ে আনার মতো অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা আছে।’
ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং জার্মানি আমাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সাহায্য করে। তারা আমাদের জানায় যে, কোন কোন পদক্ষেপগুলো আমাদের বিপদে ফেলতে পারে।’
ইসরায়েলে ইরানি হামলার বিষয়ে ইয়ের কাটজ বলেন, ‘আমাদের প্রকৌশলী ও কর্মীরা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে এ ধরনে দৃশ্যকল্পের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। ঘটনার দিন শনিবার যখন আমাদের জানানো হয় যে, ইরান হামলা চালিয়েছে তখন আমাদের কর্মীদের একটি বড় অংশ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। তারপরও আমরা একটি স্বাভাবিক সকাল দেখতে পেয়েছি এবং এটি আমাদের মহাকাশ শিল্পেরই অবদান।’
এদিকে, গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে। এসব মারণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা, হেলফায়ার মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র। অস্ত্র চালান নিয়ে দুই মার্কিন কর্মকর্তা এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে দুই হাজার পাউন্ডের ১৪ হাজার এমকে-৮৪ বোমা, ৫০০-পাউন্ডের সাড়ে ছয় হাজার বোমা, এয়ার-টু-গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র ৩ হাজার ও ১ হাজার বাংকার বিধ্বংসী বোমা ইসরায়েলে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৬০০টি ছোট হাতবোমাসহ আরও কিছু গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।