আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের ‘দীর্ঘমেয়াদি শান্তি’ বাধাগ্রস্ত করছে ইসরাইল। ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে এ কথা বলেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি রিয়াজ হামিদুল্লাহ।
গাজায় ইসরাইলের ৫৭ বছরের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে সোমবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আদালতের ১৫ বিচারপতি প্যানেলের সব সদসের উপস্থিতিতে এ শুনানি শুরু হয়। চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মঙ্গলবার বাংলাদেশসহ ১০ দেশ শুনানিতে অংশ নিয়েছে। কানাডার যুক্তি উপস্থাপনের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সরে এসেছে দেশটি। আলজাজিরা।
শুনানিতে হামিদুল্লাহ জোর দিয়ে বলেছেন, দখদারিত্বের অবৈধ কাঠামো ভেঙে দিতে হবে। ইসরাইলকে অবশ্যই ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সেই সঙ্গে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ পদক্ষেপ বিবেচনা করা উচিত।
এদিন বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেছে। নেদারল্যান্ডসের প্রতিনিধি রেনে জেএম লেফেবার বলেছেন, দখলদারিত্ব একটি গুরুতর নিয়ম লঙ্ঘন।
জাতিসংঘের প্রেক্ষাপটে এটি মোকাবিলা করা উচিত। কিন্তু যদি এটি ব্যর্থ হয় তবে রাষ্ট্রগুলো বেআইনি পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সহযোগিতা করবে। এ ধরনের লঙ্ঘনের সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বৈধ হিসাবে স্বীকৃতি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
নেদারল্যান্ডসে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত জিয়াদ আল-আতিয়াহ বলেছেন, ইসরাইল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের একাধিক প্রস্তাব উপেক্ষা করেছে। আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করার জন্য ইসরাইলকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ফিলিস্তিনি জনগণকে বেঁচে থাকার সব উপায় থেকে বঞ্চিত করা কোনো অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আলজেরিয়ার আইনবিদ আহমেদ লারাবা বলেছেন, ১৯৪৮ সাল থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরাইলের দখল স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। যার অবসান ঘটাতে ফিলিস্তিনির পক্ষে কথা বলেছে দেশটি। দক্ষিণ আফ্রিকাও ছিলেন গাজার পাশে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।