আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলি বাহিনী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন ভয়ঙ্কর অস্ত্রের প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা।
তারা বলেন, ইসরাইল চলমান যুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নতুন অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির পুরো শরীর জখম হয়ে যায়। একইসাথে মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়।
তারা আরো বলেন, এখন পর্যন্ত যাদের ওপর এই অস্ত্রের প্রয়োগ করা হয়েছে, তাদের ১০০ ভাগই মৃত্যুর মুখে পতিত হয়েছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনের বলা হয়, আলজাজিরাকে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাতকারে এক ডাক্তার বলেন, গাজা স্ট্রিপের ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে আসা রুগীদের অবস্থা বড় করুণ। তাদের ওপর নতুন অস্ত্রের প্রয়োগ দেখা গেছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি শরীরের অধিকাংশ অংশ পুড়ে যায়। একইসাথে পুরো দেহে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এ গণহত্যা বন্ধের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে শিশুই রয়েছে ১৬০০’র বেশি।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আলজাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।