আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গাজা সীমান্তে বাফার জোন তৈরির পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি আরব দেশকে এরইমধ্যে তারা অবহিত করেছে। ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। রয়টার্স বলছে, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত শেষ হলেই বাফার জোন তৈরির কাজ চলবে।
বাফার জোনের মাধ্যমে ইসরায়েল ও গাজাকে ভাগ করা হবে। নির্দিষ্ট জোনের মধ্যে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
এদিকে যে আরব দেশগুলোকে এ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই তিনটি দেশ ছাড়াও সৌদি আরবও এ বিষয়ে অবগত।
অন্যদিকে ইসরায়েলের এ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাতে সৌদি আরব, মিসর, কাতার এবং তুরস্কের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে এই বিষয়ে তারা কোনও মন্তব্য করেনি।
রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় একজন ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলার মতো পরবর্তীতে যেন হামাস অনুপ্রবেশ না করতে পারে সেজন্য ইসরায়েল একটি বাফার জোনের দাবি করছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈদেশিক নীতি পরামর্শক অফির ফাল্ক বলছেন, বাফার জোনের পরিকল্পনাটি একটি তিন স্তরের প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল যার মধ্যে প্রথমে হামাসকে নির্মুল করা হবে, তারপর গাজাকে নিরস্ত্রীকরণ করা এবং মৌলবাদ থেকে মুক্তি করা।
অতীতেও বাফার জোনের ধারণা ছিল
ইসরাইল অতীতেও বাফার জোনের পরামর্শ দিয়েছিলো। রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই বিষয় সম্পর্কে আরব রাষ্ট্রগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের একটি উধ্বর্তন নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বাফার জোন ধারণাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এটি কতটা গভীর হবে এবং এটি ১ কিমি বা ২ কিমি বা কয়েকশ মিটার (গাজার ভিতরে) হতে পারে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।