আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজা কীভাবে পরিচালিত হবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরাইলের মতের ভিন্নতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে হামাসকে নির্মূল এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ইসরাইলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার হিব্রু ভাষায় দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।
নেতানিয়াহু বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর স্থল অভিযান পরিচালনা ও যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর জন্য তাদের সর্বাত্মক সমর্থন আমরা পেয়েছি। তবে হ্যাঁ, হামাস নির্মূল হওয়ার পর গাজায় কী হবে, তা নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে। আমি আশা করি এ ক্ষেত্রেও আমরা একটি সমঝোতায় আসতে পারব।
জো বাইডেনকে ইঙ্গিত করে নেতানিয়াহু বলেন, ওসলো ভুলের পুনরাবৃত্তি ইসরাইলকে আমি করতে দেব না। আমাদের নাগরিক ও সেনাদের এত বড় আত্মত্যাগের পর তা হতে পারে না। গাজায় সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করবে, সন্ত্রাসবাদকে অর্থায়ন করবে, এমন সুযোগ আমরা দিতে পারি না। গাজা হামাসের হবে না, ফাতাহরও হবে না।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে নরওয়ের রাজধানী অসলোতে ফিলিস্তিনি এবং ইসরাইলিদের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনিরা স্বশাসনের আংশিক অধিকার পাবে এবং ইসরাইল প্রথমে পশ্চিমতীরের জেরিকো এবং তার পর গাজা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে। এর পরিবর্তে, ইসরাইলি রাষ্ট্রের বৈধতা স্বীকার করে নেবে পিএলও।
নব্বই দশকের এই ওসলো চুক্তিকে ইসরাইলের একটি ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করেন নেতানিয়াহু। তিনি ওসলো চুক্তিকে ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার সঙ্গে তুলনা করে নিজ দেশেই সমালোচনার মুখে পড়েন।
এদিকে মঙ্গলবার গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জাতিসংঘে প্রস্তাবটি উত্থাাপন করেছিল মৌরিতানিয়া ও মিসর। প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ, ভারতসহ ১৫৩ দেশ ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইলসহ ১০ দেশ ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত ছিল ২৩ দেশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।