আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার কূটনৈতিক আলোচনা শেষ হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনা পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে বলে জানিয়েছে রুশ গণমাধ্যম।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলে রুশ কনসাল জেনারেলের বাসভবনে অনুষ্ঠিত পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক শেষে মার্কিন প্রতিনিধি দল প্রথমে বেরিয়ে যায়। তবে তার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এদিকে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) নিশ্চিত করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়েছে। এর অংশ হিসেবে একজন মার্কিন নাগরিকের পরিবর্তে একজন রাশিয়ান নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তবে এখনো ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি কোনো পক্ষই।
কিসের জন্য এই বৈঠক?
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, এই আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল দুই দেশের কূটনৈতিক মিশন—দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোর কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে প্রয়াস চালানো।
বৈঠকে রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার দারচিয়েভ। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট সোনাটা কোল্টার।
বৈঠকের আগে দারচিয়েভ মন্তব্য করেন, কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যেই অগ্রগতি হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মস্কো ও ওয়াশিংটন উভয়ই তাদের কূটনীতিকদের জন্য পরিচয়পত্র সংগ্রহের অসুবিধা সম্পর্কে অভিযোগ করেছে। যার ফলে তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
রাশিয়া বলেছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে কূটনীতিকদের বেতন দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে মার্কিন কূটনীতিকরা বলেছেন, রাশিয়ায় তাদের চলাচল সীমিত।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন ৬টি রাশিয়ান সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে- লং আইল্যান্ডের কিলেনওয়ার্থ এস্টেট, মেরিল্যান্ডের পাইওনিয়ার পয়েন্ট ‘ডাচা’, সান ফ্রান্সিসকো ও সিয়াটলে রাশিয়ান কনস্যুলেট এবং ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে বাণিজ্য মিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।