জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশকে চারটি প্রদেশে বিভক্ত করে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ইস্যু ছাড়া অন্যান্য ক্ষমতা এই প্রাদেশিক পরিষদের উপর ন্যস্ত করার কথাও বলেছে এ কমিশন।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মো. ইউনূসের কাছে জমা দেয়া সংস্কার প্রস্তাবের অগ্রগতি প্রতিবেদনে এ খসড়া সুপারিশের কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে সংবিধান নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এসময় বিচার বিভাগ সংস্থার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনও তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেন। বর্ধিত সময় অনুযায়ী এ দুটি কমিশনের আগামী ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানালেও বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আসিফ নজরুল বলেন, চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার চারটি কমিশন ছাড়াও বাকি দুটি কমিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তারা কিছু রিকমেন্ডেশন দিয়েছেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে যে ছবি রিলিজ করা হয়েছে তাতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্থার কমিশনের প্রধানকেও দেখা গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় এ দুটি কমিশনের প্রধানরা নিজের তো সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন।
প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা ছাড়াও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস পরীক্ষার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা থেকে শুরু করে নিয়োগের সুপারিশ এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা বলেছে। একই সাথে তারা বিদ্যমান প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বাইরে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর নিয়োগের জন্য আলাদা কমিশন গঠনের কথা বলেছেন।
এ কমিশন নিজ নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ ব্যক্তিবর্গকে জনপ্রশাসনের কাজে লাগানোর সুপারিশের কথা বলেছেন। এক্ষেত্রে তারা সুপারিশ করেছে, দেশে ও বিদেশে অবস্থিত বিশেষ করে প্রবাসে যারা নিজ ক্ষেত্রে দক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদেরকে সরকারের বিভিন্ন পদে (চুক্তিভিত্তিক বা স্থায়ী) নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রীয় কাজে লাগানো যেতে পারে বলে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপিত খসড়া সুপারিশে জানিয়েছে। এ সংস্কার কমিশন ক্যাডার সার্ভিসে বৈষম্য দূরীকরণেরও সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছে।
এদিকে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে বিচার কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা দূরীকরণ, বিচার সংস্কার করন ও জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহর পর্যায় হাইকোর্টের শাখা স্থাপনের সুপারিশ করেছে। এছাড়া তারা জেলা আদালতকে উপজেলা পর্যায়ে স্থানান্তরের খসড়া সুপারিশ করেছে। উল্লেখ্য যে, হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে হাইকোর্ট বিভাগে বিভাগীয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং উপজেলা আদালত গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। ওই সময় উপজেলা পরিষদ গঠন করে জেলা আদালতকে উপজেলা পর্যায়ে নেওয়া গেলেও উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টকে বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে অবশ্য উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত হলে উপজেলা আদালত জেলা পর্যায়ে চলে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।