আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইতালিতে এবার নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এখন থেকে বংশ পরম্পরার নীতিতে ইতালির নাগরিকত্ব নিতে হলে আবেদনকারীকে দেশটিতে কমপক্ষে এক বছর বসবাস করতে হবে। একইসঙ্গে ইতালীয় ভাষা শিক্ষা পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মেলোনি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও, খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
ইতালির নাগরিকত্ব গ্রহণের সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বংশ পরম্পরার মাধ্যমে আবেদনপত্র দাখিল। কোনো আবেদনকারীর পূর্ব পুরুষদের কেউ যদি ইতালিয়ান বংশোদ্ভূত থাকেন, তাহলে পৃথিবীর যেকোনো দেশের ইতালীয় দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদনপত্র দাখিল করতে পারবেন।
এসব আবেদনকারী দ্রুত সময়ের মধ্যে ইতালির নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এই পন্থায় ইতালি প্রতি বছর মোট নাগরিকত্বের অর্ধেকেরও বেশি দিয়ে আসছে।
তবে সম্প্রতি ইতালির সরকার সংসদে বংশ পরম্পরার নীতির ওপর একটি খসড়া আইন চূড়ান্ত করেছে। নতুন আইন অনুযায়ী, ইতালির নাগরিকত্ব নিতে হলে আবেদনকারীকে ইতালিতে কম পক্ষে এক বছর বসবাস করতে হবে। একইসঙ্গে ইতালীয় ভাষা শিক্ষা পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে হবে।
ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে দেশটিতে নাগরিকত্ব গ্রহণের হার কমবে। অন্যদিকে, যেহেতু ইতালির জনসংখ্যা দিন দিন কমছে, তাই দেশটির সরকার নতুন নাগরিকত্ব দিতে বাধ্য হবে। এই সুযোগ পাবেন এশিয়া, আফ্রিকা থেকে আসা ইতালিতে বসবাসরত বিদেশিরা। আর তাই এই সিদ্ধান্তে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
বিয়ের আগেই বাসর রাতে উদ্দাম রোমান্স, সুখ পেলেই কেবল বিয়ে হয় যেখানে
উত্তরাধিকার সূত্রে নাগরিকত্ব নেয়া কঠিন হলে, ইতালিতে বৃদ্ধি পাবে দীর্ঘদিন বসবাসের মাধ্যমে ট্যাক্স প্রদানকারীদের নাগরিকত্ব নেয়ার হার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।