আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের দক্ষিণ প্রান্তের শেষ পোস্টঅফিসে চাকরির সুযোগ তৈরি হলেও বেশ কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যার একটি হল চিঠির সঙ্গে একটি প্রাণিও গুনতে হবে।
ডাকঘরে চাকরি। তবে সে ডাকঘর কোনও শহরে নয়। বিশ্বের দক্ষিণ প্রান্তের শেষ ডাকঘর সেটি। সেখানে কিন্তু চিঠির অভাব নেই। হিসাব বলে বছরে নাকি ৮০ হাজার চিঠি ও পোস্টকার্ড নিয়ে কাজ করতে হয় ডাককর্মীদের। এখানেই চাকরির জন্য ৩টি পদ খালি আছে। যার বিজ্ঞাপন নজর কেড়েছে গোটা বিশ্বের।
কারণ এখানে কাজটা ৪ মাসের। নভেম্বর থেকে মার্চ। এটাই ওখানে গরমকাল। কারণ ডাকঘরটি অ্যান্টার্কটিকার গডিয়ার দ্বীপে অবস্থিত ব্রিটেনের পোর্ট লকরয় বেস-এ। এখানে চাকরি পেতে পারেন কেবল ব্রিটেনের নাগরিকরা। কিন্তু শর্তগুলি গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে।
এখানে এই ৪ মাসের জন্য চাকরি করতে চাইলে মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে এসে লাভ নেই। কারণ এখানে মোবাইল ফোন কাজ করেনা।
ইন্টারনেট বলে কিছু নেই এখানে। তাই ল্যাপটপ বা কিছু সঙ্গে এনে যদি কেউ ভাবেন ইন্টারনেটে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন বা ইন্টারনেট অন্য কাজে ব্যবহার করবেন, তাহলে তার উপায় নেই।
তারওপর এখানে কাজ করতে গেলে কেবল চিঠি গুনলেই চলবে না, গুনতে হবে পেঙ্গুইনও। এই পোস্ট অফিসটির নামই পেঙ্গুইন পোস্ট অফিস। এখানে বসবাস করে এমন পেঙ্গুইনদের সংখ্যা গুনতে হবে ডাককর্মীকে।
এখানে যখন গ্রীষ্মকাল তখন অনেক পর্যটক হাজির হন জাহাজে চেপে। তাঁরাই এখানে মূলত চিঠির উৎস। তাঁরা কেনাকাটা কিছু করতে চাইলে এখানে রয়েছে একটি দোকানও। সেই দোকানও চালনা করতে হবে ডাককর্মীদের।
যেহেতু এটা কেবল ব্রিটেনের নাগরিকদের জন্য চাকরি তাই গোটা বিশ্বের তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তা সত্ত্বেও এই কাজ নিয়ে বিশ্বজুড়ে চর্চার কারণ এর অভিনব সব শর্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।