বিনোদন ডেস্ক : অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, একজন সফল নারী, সফল অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম হলেও এ অভিনেত্রীর শৈশব কেটেছে নিউইয়র্ক হ্যামলেটে। অভিনয়ে সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলার পরও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরিচালক হতে চেয়েছিলেন চঞ্চল ও মারকুটে স্বভাবের জোলি। কৈশোর থেকেই মৃত্যু শব্দটির প্রতি মুগ্ধতা তাকে ও পথে নিতে চেয়েছিল।
পড়াশোনাও শুরু করেছিলেন সে বিষয়ে। কিন্তু কালের পরিক্রমায়, উত্তুঙ্গ স্বভাবের জোলি এক সময়ে হয়ে ওঠেন হলিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী। একাধিকবার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন ‘বিশ্বের সেরা সুন্দরী’।
ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে বনিবনা ছিল না তার। নিজের আবেগ অনুভূতির সঙ্গে প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর সে সম্পর্কের শীতলতা কমিয়েছেন কিছুটা। নিজের জীবন নিয়ে খুব বড় স্বপ্নও দেখেননি এ অভিনেত্রী। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন-জীবন চলুক তার নিজস্ব গতিতে। আর সেই গতিতে যতি টানতে পারেননি যৌবনের জোলি।
সামাজিক ব্যাধির সঙ্গে নিজেকে জড়ানোর বিরুদ্ধে লড়ে জয়ী হন তিনি। এমন কোনো ড্রাগ ছিল না, যা তিনি ব্যবহার করেননি। এখন সেই জোলিই খ্যাতি অর্জন করেছেন একজন মানবহিতৈষী আন্তর্জাতিক কর্মী। জাতিসংঘের দূত হয়ে কাজ করেছেন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শরণার্থীদের পক্ষে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে গেছেন যুদ্ধ কিংবা দুর্যোগ পীড়িত মানুষের দুর্দশার গল্প শুনতে। এমনকি ২০১৯ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে বাংলাদেশেও এসেছিলেন তিনি।
অভিনেত্রী হিসাবেও নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ দিয়ে পেয়েছেন চূড়ান্ত স্বীকৃতি। তিনবার গোল্ডেন গ্লোব, দুবার স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড এবং একবার একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন লাভ করেছেন।
১৯৮২ সালে লুকিন’ টু গেট আউট চলচ্চিত্রে বাবা জন ভইটের সঙ্গে একটি শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ তার। তবে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসাবে তার অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ ২-এ অভিনয়ের মাধ্যমে। তার অভিনীত প্রথম বড় মাপের ছবি হ্যাকারস (১৯৯৫)।
এ ছবিতে অভিনেতা জনি লি মিলারের বিপরীতে নামভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি। ২০০১ সালে লার ক্রফ্ট : টম্ব রেইডার তার তারকাখ্যাতি আরও বাড়িয়ে দেয়। মূলত এরপর থেকেই জোলি হলিউডের অন্যতম ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত একজন অভিনেত্রী হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছেন।
ব্যবসায়িকভাবে সফল তার অন্য ছবিগুলোর মধ্যে মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ, অ্যানিমেশন ছবি কুং ফু পান্ডা বিশেষভাবে স্মরণীয়।
মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডেরও স্বীকৃতি পেয়েছেন জোলি। ২০০২ সালের আগস্টে তিনি চার্চ ওয়ার্ল্ড সার্ভিসেস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি প্রোগ্রামের দেওয়া প্রথম মানবহিতৌষী পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৩ সালে ইউনাইটেড নেশন্স করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন তাকে নতুন ঘোষিত পুরস্কার সিটিজেন অব দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে। ২০০৫ সালে তিনি ইউএনএ-ইউএসএ কর্তৃক গ্লোবাল হিউম্যানিটেরিয়ান পুরস্কার পান।
ব্যক্তিজীবনে জোলি তিনবার বিয়ে করেছেন। প্রথমবার অভিনেতা জনি লি মিলার, দ্বিতীয়বার বিলি বব থর্নটন ও তৃতীয়বার ব্রাড পিটের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন তিনি। কোনো সংসারই শেষমেশ আর টেকেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।