বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের অন্যতম সুন্দরী নায়িকা আলিয়া ভাট। অভিনয়েও তিনি সিদ্ধহস্ত। ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন চার বার। শারীরিক ফিটনেসের দিক থেকেও যে কোনো নায়িকাকে চার গোল দিতে পারেন ৩০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। তা দেখে অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে, কোন মন্ত্রে এমন ফিট থাকেন তাদের প্রিয় তারকা।
আলিয়া ভাটের পুরনো কিছু ছবি দেখলেই বোঝা যায়, অভিনয়ে আসার আগে বেশ মোটা ছিলেন পপরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাটের মেয়ে। তবে বলিউডে অভিষেক করার আগেই নিজেকে একেবারে ফিট বানিয়ে ফেলেন অভিনেত্রী। নিয়মিত শরীরচর্চা ও যোগাসনের মন্ত্রেই এখনো বলিউডের অন্যতম ফিট অভিনেত্রী তিনি।
ছবির কাজ নিয়ে সারা বছরই ভিষণ ব্যস্ত থাকতে হয় আলিয়াকে। গত বছর আবার কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন। তাই বাচ্চাকেও সামলাতে হয়। এত কাজের মাঝেও নায়িকার চেহারায় নেই ক্লান্তির কোনো ছাপ। এ নিয়ে ভক্তমহলে চর্চার শেষ নেই। সম্প্রতি অভিনেত্রীর যোগ প্রশিক্ষক আনুশকা পারওয়ানি সেই রহস্য ফাঁস করলেন।
পারওয়ানি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে যোগাসনে মত্ত আলিয়ার একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে আলিয়াকে ‘বীরভদ্রাসন’ করতে দেখা গেছে। তবে কি যোগাসনেই লুকিয়ে রয়েছে আলিয়ার সৌন্দর্যের রহস্য?
কীভাবে করবেন বীরভদ্রাসন?
আসনটি করার জন্য প্রথমে দুই পা সোজা করে দাঁড়ান। কোমর থেকে ডান দিকে ঝুঁকুন। তারপর শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত তুলুন মাথার উপর। একটি পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। পেছনের পা যতটা সম্ভব সোজা রেখে পেছনে টেনে নিয়ে যান। এভাবে ৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে। এরপর আবার অন্যদিকে ঘুরে অন্য পায়ের উপর ভর দিয়ে একই ভাবে আসনটি করতে হবে।
এই আসনটি কেন করবেন?
সারাদিনের কর্মব্যস্ততার পর শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে এই আসনটির জুড়ি মেলা ভার। পা ও পিঠের পেশি মজবুত হয়। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে কাজ করলে কোমর ও পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। সেই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এই আসনটি করা যেতেই পারে। মানসিক ক্নান্তি দূর করতেও এই আসন দারুণ উপকারী।
তবে শুধু শরীরচর্চা নয়, খাওয়াদাওয়ায়ও যথেষ্ট সাবধানী আলিয়া। গরম পানিতে লেবু দিয়ে পান করে শুরু হয় তার সকাল। এরপর একটা রুটির সঙ্গে কয়েক পদের টাটকা সবুজ, হলুদ, লাল সবজি সেদ্ধ খান। অথবা খান সবজি দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ।
ভাগ্নের সঙ্গে রোমান্স, সাহসিকতার সকল সীমা অতিক্রম করলো এই ওয়েব সিরিজ
মাঝেমধ্যে সকালের নাশতায় অভিনেত্রী ইডলি খান। যা-ই খান না কেন, সঙ্গে একটা ডিম থাকেই। নাশতার সঙ্গে চিনি ছাড়া এক মগ লাল চা বা কফি। নাশতার কিছুক্ষণ পর এক বাটি ফল খান। বেশির ভাগ সময়েই সেটি হয় পাকা পেঁপে। এছাড়া দুপুর এবং রাতেও খুব হালকা খাবারই খেয়ে থাকেন আলিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।