জুমবাংলা ডেস্ক : মেট্রোরেল স্টেশনের ভেতরে যেখানে-সেখানে ব্যবহৃত পানির বোতল, টিস্যু, পলিথিনের ব্যাগ, ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা হচ্ছে। যাত্রীদের কেউ কেউ খোঁজ কনে কোনো ক্লিনারও পাননি। এতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, আমাদের জাত চেনানো শুরু হয়ে গেলো। এই ভয়টাই ছিলো, সেটাই আজ দেখলাম। কেউ কেউ আবার বলছেন, এইটা কি ময়লা ফেলার জায়গা? ক্লিনারের চেয়ে খোঁজ করা দরকার যারা ময়লা ফেলেছে ওদের।
ফেসবুকের মেট্রোরেলের একটি কমিউনিটি গ্রুপে নাজমুল ইসলাম ফাহিম নামক এক যাত্রী লিখেছেন, ‘আমাদের জাত চেনানো শুরু হয়ে গেলো। এই ভয়টাই ছিলো, সেটাই আজ দেখলাম। ধরে নিলাম ইজতেমার লোকজনের প্রচুর চাপ ছিলো আজ কিন্তু সেটা তো দুপুরের পরে শিথিল হয়েছে আর এই ছবিটা রাত ৮টার দিকের। যতদূর জানি এয়ারপোর্টে যে কোম্পানি ক্লিনিং এর কাজ করে তারাই মেট্রোর ক্লিনিং এর ঠিকাদারী পেয়েছে। আজ একজন ক্লিনারকেও দেখলাম না। আমি ডেকে দেখাতে চেয়েছিলাম।’
ফাহিম ময়লা-আবর্জনার কয়েকটি ছবি শেয়ার দিয়ে আরও লিখেছেন, ‘দেখে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছে। তবে এ নিয়ে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিলো বলে মনে হয় না। কবে যেন দেখবো রাজনৈতিক পোস্টারে ভরে উঠবে প্লাটফর্ম। সেদিন এটা বলেছিলাম এক ভাই বললো কখনোই হবে না এমন। আমি নিজে দেখেছি পদ্মা সেতুর সংযোগ এত সুন্দর সড়কে রাজনৈতিক পোস্টারে ভরা। এমনকি দুই রোডের মাঝে ডিভাইডারের ওপরও বাঁশের চাটাই দিয়ে পোস্টার লাগানো।’
সেখানে মাহমুদুল হাসান শাফিন নামের এক যাত্রী কমেন্ট করেছেন, ‘তখন কি জাত ধরে রাখার মতো কেউ ছিলো না। একজনও কি বোতল ফালানোর সময় বলতে পারলো না বা ডাস্টবিন দেখিয়ে দিতে পারলো না।’
রংধনু লিখেছেন, ‘এটা আমাদের জাতের দোষ। সবসময় আমরা পারি দোষ অন্যের ঘারে চাপাতে। কেন ক্লিনারের দোষ দিচ্ছেন। এইটা কি ময়লা ফেলার জায়গা। ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোন জায়গা কি ছিল না নাকি। এই দেশ উন্নতের দিকে দাবিত হলে কি হবে আমাদের মানসিকতা কোন দিন উন্নত হবে না। আপনি জানেন কি অনেক দেশ এর মেট্রোরেলের প্ল্যাটফর্মে কিছু খেতেও পারবেন না। আর এইখানে কত জগণ্য কাজটি করেছে। কেন এখন ক্লিনারের দোষ দিচ্ছেন? নিজেরা সচেতন হয়ে ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেললেইতো হয়ে যায়। জাতিগত রোগ এটা আমাদের, নিজেদের মানষিকতা উন্নত করুন, দেখবেন সব ঠি হয়ে গেছে।’
আহনাফ লিখেছেন, ‘শৃঙ্খলা-শিক্ষা ব্যতীত উন্নয়ন করলে এমনই হবে। যতই সুন্দর হোক না কেন তা বিচ্ছিরি রূপ নেবেই। পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়ক, নব নির্মিত কক্সবাজার রেলস্টেশন এখন ঢাকা মেট্রোরেল। ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে ঠিক কিন্তু, তা ব্যবহারকারী জনতা তো এখনো নিয়মের ব্যাপারে বিশৃঙ্খল।’
সৈয়দ মুনির হাসান লিখেছেন, ‘ক্লিনারের চেয়ে খোঁজ করা দরকার যারা ময়লা ফেলেছে ওদের। তাদেরকে ধরে এনে তিনদিন স্টেশন পরিষ্কা করানোর কাজে লাগানো উচিত।’ নাদিরা আঞ্জুম প্রিয়া লিখেছেন, ‘দেশ উন্নত হলেও দেশের মানুষ আর তাদের চিন্তা ভাবনা উন্নত হবে না।’
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সৈকত লিখেছেন, ‘তো ক্লিনারের দোষ খোঁজার আগে নিজেদের চারিত্রিক ও বংশগত দোষ খোঁজেন না কেন? এ ময়লা কি এখানে ফেলার জায়গা? আচ্ছা এখানে বাদ দিলাম যেখানে সেখানে ফেলার জায়গা?’
মঞ্জুর ইসলাম লিখেছেন, ‘কিছুদিন আগে কমেন্টে বলেছিলাম এটা আমাদের সম্পদ তাই আমাদেরকেই ক্লিন রাখতে হবে। আফসোস এক বড় ভাই রিপ্লাই দিল ওখানে অনেক ক্লিনার আছে।’
রাশেদ হোসেন লিখেছেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যারা এইসব জঘন্য কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হোক।’ সেলিম আল সাজু লিখেছেন, ‘৬ মাসের জেল দেওয়া উচিত।’
শেখ মাশফিক জামান লিখেছেন, ‘ভাই এইগুলি বাস মালিক দের ষড়যন্ত্র। বিজনেস খারাপ ওদের তাই ময়লা ফেলিয়া পরে মানুষদের বলবে মেট্রোতে ময়লা আসেন বাসে যাই। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ, বাঙালিদের আবার বিশ্বাস নাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।