লাইফস্টাইল ডেস্ক : জাম একটি গ্রীষ্মকালীন জনপ্রিয় ফল। গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও জুন, জুলাই এবং আগস্ট মাসেও জাম পাওয়া যায়। জামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ আছে যা অনেক ঔষধি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। জামের রঙ সাধারণত বেগুনি বা কালো হয়ে থাকে এবং স্বাদে বেশিরভাগ মিষ্টি ও সামান্য টক। অন্যান্য ফলগুলোর তুলনায় এটি স্বাস্থ্যকর এবং এতে আছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ জাম শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে।
জামে ক্যালোরি খুব কম যা একে স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে উপস্থাপন করে। এই ফলের বীজ, পাতা এবং ছালের ঔষধি মূল্য রয়েছে এবং এটি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাগুলোতে ব্যবহার করা হয় এবং এর চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জামের পুষ্টিগুণ পেতে হলে যেভাবে খেতে হবে
১) ফল খাওয়ার পর এমনিতেই পানি খেতে না করা হয়। তৃষ্ণা পেলেও জাম খেয়ে কখনও পানি খাওয়া যাবে না। তা না হলে ডায়রিয়া ও বদহজমের মতো সমস্যা হতে পারে। জাম খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা পরে পানি খান।
২) খালি পেটে জাম না খাওয়া ভালো। এতে বদহজম, অম্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩) জাম খাওয়ার পর দুধ, পনির, দইয়ের মতো দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪) জাম এবং হলুদ খুবই মারাত্মক জুড়ি। এই দুটো জিনিস কখনও একসঙ্গে খাবেন না। জাম খাওয়ার পর তাই হলুদ দিয়ে তৈরি কোনও খাবার না খাওয়াই ভালো।
৫) জাম খাওয়ার সাথে সাথে আচারজাতীয় কোনও খাবার না খাওয়াই ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।