লাইফস্টাইল ডেস্ক : জাবুতিকাবা ব্রাজিলিয়ান আঙুরগাছ হিসেবে পরিচিত। তবে প্রচলিত আঙুরগাছের সঙ্গে কোনো মিল নেই এর। মিল আছে ফলের রং ও আকৃতিতে। গাছের কাণ্ড ফেটে ফলন হয়। এর ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণও খুব আকর্ষণীয়।
গ্রীষ্মকালীন জলবায়ুর অঞ্চলে জন্মায় এ ফলটি। জাবুতিকাব ম্যারাটেসি পরিবারের সদস্য হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় একে। এটি ব্রাজিলের স্থানীয় চিরসবুজ গাছ, যা ঘন চামড়াযুক্ত বেগুনি ফলের উৎপাদন করে। যা বড় আঙুর ফলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এই ফল ব্রাজিলের অন্যতম জনপ্রিয় ফল।
জাবুতিকাবার আরও কয়েকটি প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় উরুগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, উত্তর-পূর্ব আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েতে। এই ফলের গাছটি গড়ে ১০ থেকে ১৫ ফুটও বাড়ে। খুব ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং বীজ রোপণের পর থেকে ফল উৎপাদন করতে ৮ থেকে ১০ বছর সময় নেয়। তবে ফলন্ত গাছের গুটি কলমের চারা রোপণ করলে ফল ধরতে সময় নেয় দুই বছর।
গবেষকদের মতে, ব্রাজিলের মিনাস গেরেইস অঞ্চলে জাবুতিকাবার উৎপত্তি হয়। ১৯৯৪ সালের দিকে জাবুতিকাবা প্রথম আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্তা বারবারায় চাষ হয়। বর্তমানে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, সান ফ্রান্সিসকো ও সান জোসে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ায় এই ফলটির চাষ হচ্ছে।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, জাবুতিকাবার পুষ্টিগুণ অনেক। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, পেন্টাটিন, আয়রন, ফসফরাস, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ভিটামিন ই ও বি রয়েছে। ভরপুর রয়েছে ভিটামিন সি-এ। এছাড়া রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদানও।
শুধু তা-ই নয়, আইয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রেও এই ফলটির ব্যবহার রয়েছে। আইয়ুর্বেদীয় বিশেষজ্ঞ নিখিল রায় চৌধুরী জানান, অসাধারণ ঔষধি ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলকে আইয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রমতে দ্রাক্ষা ফলও বলা হয়। বর্তমানে দেশের মাটিতেও এখন ফলন হচ্ছে এ ফলটির। বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় উত্তর চাঁদশি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল হাওলাদারের বাগানে দেখা মিলেছে দুর্লভ এই ফলের। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় চাষযোগ্য জাবুতিকা একটি সম্ভাবনাময় পুষ্টিকর ফল বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।