জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরের মেঘনায় সারবোঝাই কার্গো জাহাজ এমভি আল-বাখেরার সাত কর্মীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আকাশ মন্ডল ওরফে ইরফান হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণও তিনি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বাগেরহাট থেকে তাকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানিয়েছে, সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ থেকেই ইরফান এই বিভৎস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে। এদিকে, আসামিকে সাতদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেয়া তথ্যমতে, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করার পর জাহাজ মাস্টারকে হত্যা করেন ইরফান। এই দৃশ্য দেখে ফেলায় আরেক কর্মচারীকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করেন তিনি। আর পুরো ঘটনা ধামাচাপা দিতেই একে একে সাত জনকে হত্যা করে গা ঢাকা দেন জাহাজ কর্মচারী আকাশ মন্ডল ইরফান।
জাহাজ থেকে ৭ জনের মরদেহ উদ্ধারের দুদিন পরই বেরিয়ে এলো হত্যা রহস্য। কর্মচারি আকাশ মন্ডল ওরফে ইরফানকে বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, সবাইকে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ইরফান। মাস্টারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। যা দেখে ফেলায় এক কর্মচারীকেও হত্যা করে। ঘটনা ধামাচাপা দিতেই একে একে হত্যা করে ৭ জনকে।
র্যাব-১১ এর উপ অধিনায়ক মেজর সাকিব হাসান বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাহাজ পরিচালনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভাতা, বোনাসসহ সব সুযোগ-সুবিধা একাই ভোগ করতেন মাস্টার। এরই জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে মাস্টারকে হত্যার ছক আঁকেন ইরফান।
গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে হাইমচরে মেঘনা নদীতে থেমে থাকা সারবাহী কার্গো জাহাজ থেকে ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন জাহাজ মালিক। শিল্প মন্ত্রণালয় ও চাঁদপুরের স্থানীয় প্রশাসন গঠন করেছে আলাদা তদন্ত কমিটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।