জুমবাংলা ডেস্ক : এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক অবশেষে রওনা হয়েছেন তীরের পথে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কুতুবদিয়া চ্যানেলে থাকা জাহাজ ছেড়ে তীরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। তাদের তীরে পাঠাতে নাবিকদের অন্য একটি দল সোমবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে উঠেছে। তাদের কাছে সকালে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন সেই ২৩ নাবিক। আজ বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া নাবিকদের সংবর্ধনা দেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সেখানে দেখা হবে তাদের স্বজনদের সঙ্গেও।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ‘২৮ এপ্রিল দুবাই থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা জাহাজটি কুতুবদিয়া চ্যানেলে আছে। বিকল্প একটি টিম দেওয়া হয়েছে সেই জাহাজে। আর জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে নামবে আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায়। দুপুর ১২টার দিকে তারা রওনা হয়েছেন। এনসিটি জেটিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপর নাবিকরা যার যার ঘরে চলে যাবে।’
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, ‘এমভি আবদুল্লাহ সোমবার কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। জিম্মি হওয়ার ৬৩ দিন পর নাবিকরা আজ স্বজনদের দেখা পাবে।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে চট্টগ্রামে এসেছে। কুতুবদিয়া চ্যানেলে লাইটারেজ জাহাজ লাগিয়ে সেগুলোর কিছু অংশ খালাস করা হবে। বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এনে খালাস করবে জাহাজটি।
স্যাটেলাইট সংযোগ বাদেও যেসব সুবিধা থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ফিফটিনে
১৩ এপ্রিল ভোর ৩টায় সোমালিয়ান দস্যুদের কাছ থেকে ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ। দস্যুদের ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজটি মুক্ত হয়েছে বলে আলোচনা আছে। যদিও টাকার এই অঙ্ক কখনও স্বীকার করেনি জাহাজটির মালিকপক্ষ। জাহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। এটি ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্তরপূর্ব উপকূলের গ্যরাকাদে নোঙ্গর করেছিল। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।