আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডলফিন বা শুশক মাছ, যাই বলুন না কেন, নামটা শুনলেই প্রথমে মাথায় আসে জলের গভীরে লাফালাফি করছে, সাঁতরে বেড়াচ্ছে এক উচ্ছল প্রাণী। এক কথায় যে কি না চতুর মাছ হিসেবেও আখ্যা পেয়েছে।
সাধারণত মনে করা হয় ডলফিন মাছের একটি প্রজাতি। তবে তা নয়, বরং ডলফিনকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যেই গণ্য করা হয়। এদেরকে খুব বুদ্ধিমান প্রাণী বলে মনে করা হয়।
মনে করা হয় বললে বোধ হয় ভুল বলা হবে। এরা আদতেই বুদ্ধিমান। জানলে অবাক হবেন যে প্রাণীদের মধ্যে ডলফিনের স্মৃতিশক্তি সবচেয়ে বেশি। একথা অনেক ভাবেই প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এবার তারা গবেষণা করতে গিয়ে বুঝতে পারলেন, ডলফিন সত্যিই ঠিক কতটা বুদ্ধিমান। সেই গবেষণার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি অস্ট্রেলিয়ার। যেখানে বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে ডুবো ক্যামেরার সাহায্যে তাদের আচরন ও বুদ্ধিকে বোঝার চেষ্টা করেছেন। ডলফিনের এমন কিছু কর্মকাণ্ড ধরা পড়েছে ডুবো ক্যামেরায়, যা দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরাও। পার্থ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে বুনবুরি এলাকায় ডলফিন জেলেদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
যখনই জেলেরা সমুদ্রে কাঁকড়া ধরার জন্য ছোট ছোট মাছ দিত। তখনই ডলফিন সেই ছোটমাছ খেয়ে নিত। এমনকি বহু দিন ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। জেলেদের মতে, যখনই কাঁকড়াকে জালে আটকানোর জন্য একটি ফাঁদে করে মাছ ফেলা হত, তখনই সেই ফাঁদ থেকে মরা মাছ খেয়ে নিত ডলফিন।
এ বিষয়ে গবেষণা করতে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কয়েকজন উদ্ধারকারীও আসেন। ডলফিনরা কেন এমন করছে, তা জানাই ছিল এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। গবেষণার পরে যে ফলাফল প্রকাশ্যে এসেছে তা দেখে অবাক হয়েছেন সমস্ত বিজ্ঞানীরা। গবেষণার জন্য উদ্ধারকারী এবং বিজ্ঞানী দল জেলেদের মতো মাছটিকে কাঁকড়ার জালে ফেলে দেন। আর পুরো ব্যাপারটা দেখার জন্য তাতে ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল।
সাহসী দৃশ্যে ভরপুর উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজ, দরজা বন্ধ করে একা দেখুন
জলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই একটি ডলফিন খুব চতুরভাবে মাছটিকে বের করে আবার একইভাবে জালটি বন্ধ করে দেয় যাতে এটি বাইরে বেরিয়ে আসার পর কেউ কিছু বুঝতে না পারে। বিজ্ঞানীরা যখন ক্যামেরায় এই দৃশ্য দেখেন, তখন তারা হতবাক হয়ে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।