আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের সদ্য নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তার বহুল প্রতীক্ষিত জ্বালানি সংকট পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এর আওতায় জনগণের জ্বালানি ব্যয়ের একটি অংশ সরকার মেটানোর দায়িত্ব নিচ্ছে। জ্বালানি বাজারের অস্থিরতা মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা পরিকল্পনায় ব্যাপক কাটসাঁটসহ একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথাও বলেছেন ট্রাস। তার সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী দুই বছর গৃহস্থালি পর্যায়ে জ্বালানি মূল্য বেঁধে দেওয়া (ফ্রিজ) থাকবে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল বৃহস্পতিবার লিজ ট্রাস প্রথম বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। বিশ্বের অনেক দেশের মতোই যুক্তরাজ্যজুড়ে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের দামসহ জীবন যাত্রার ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় লিজ ট্রাস প্রচারণার সময় দেওয়া অঙ্গীকার অনুযায়ী এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের এ সহায়তা কর্মসূচির আর্থিক মূল্য ১০ হাজার কোটি পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে।
এ বিষয়ে লিজ ট্রাস জানান, বেসরকারি জ্বালানি সরবরাহকারীরা সরকারের কাছ থেকে জ্বালানির দামের একটি অংশ পাবে। তবে কত টাকা এবং তা কোন কোন কম্পানিকে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাননি তিনি।
রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণের পর বিশ্ব জ্বালানি বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। তার আঁচ লাগে অন্যতম শীর্ষ শিল্পায়িত দেশ জ্বালানির জন্য আমদানিনির্ভর যুক্তরাজ্যেও। দেশটির মানুষের গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল এরই মধ্যে বেড়েছে। আগামী অক্টোবরে তা ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ১০.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ৪০ বছরে সর্বোচ্চ। এটি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এর অন্যতম কারণ।
এ অবস্থায় বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি কমাতে এসব পদক্ষেপ নিল সরকার। নতুন পরিকল্পনার জন্য অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হলেও লিজ ট্রাস ও তার অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ার্টেং বলেছেন, এই কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য সুফল বয়ে আনবে। শুধু তাই নয়, সরকার দাবি করছে, এতে মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশ কমবে।
কোয়ার্টেং বলেন, ‘জ্বালানির দাম বেঁধে দেওয়ার কারণে পরিবার ও ছোট ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।