জুমবাংলা ডেস্ক : বছরের শেষ অর্ধেক সময়ের (জুলাই-ডিসেম্বর) জ্বালানি তেলের চাহিদা মেটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের পরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে সরকার। এসব জ্বালানি কেনার নানা আনুষ্ঠানিকতা, প্রিমিয়াম নির্ধারণ, আন্তর্জাতিক বাজারের সর্বনিম্ন দরে পার্সেল শিডিউলে সরবরাহ ইত্যাদি নিশ্চিত করে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা শুক্রবার (২৩ মে) মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
গতকাল মালয়েশিয়া থেকে ইত্তেফাককে টেলিফোনে এ তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র। সূত্র জানায়, সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারের যে ৯টি সোর্স বা প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ জ্বালানি তেল কিনে থাকে, সেসব প্রতিষ্ঠানেরই কয়েকটির সঙ্গে জ্বালানি কেনার ব্যাপারে নেগোসিয়েশন করেছেন ক্রয় কমিটির সদস্যদের একটি দল। এতে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান।
এই নেগোসিয়েশনে কেনা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য। ক্রয়কমিটির সদস্যরা নেগোসিয়েশনের জন্য মালয়েশিয়ায় যান গত ১৭ মে।
কেনা জ্বালানি তেলের মধ্যে রয়েছে, ডিজেল ৮ লাখ মেট্রিক টন, বিমানের জ্বালানি বা জেট ফুয়েল ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ১ লাখ মেট্রিক টন, পেট্রোল ও অকটেন প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন।
নেগোসিয়েশনে থাকা বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (কমার্শিয়াল অ্যান্ড অপারেশন) মনিলাল দাশ বলেন, ‘নেগোসিয়েশনে আমরা লোয়েস্ট প্রিমিয়ামের বিষয়টি লক্ষ রেখেছি। চুক্তিতে ফ্লেক্সিবিলিটি রয়েছে।
এসব পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য। বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলসহ পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মেট্রিক টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।