আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কথা ছিল ক্যামেরায় নদীর ছবি তোলা হবে। চিরকালের জন্য স্মৃতিতে থেকে যাবে কলোরাডোর অ্যানিমাস নদীর ছবি। কিন্তু সেই ছবি তুলতে গিয়েই বিপত্তি। গলায় ক্যামেরা ঝোলানো ফিতা ছিঁড়ে ক্যামেরাটি গিয়ে পড়ে নদীর পানিতে। ১৩ বছর আগের সে ঘটনার পর ক্যামেরার শোক ইদানীং কাটিয়ে উঠেছেন কোরাল এলিসে আমায়ি। হঠাৎ কোরাল জানতে পারেন, সেই ক্যামেরাটি পাওয়া গেছে। শুধু তা-ই নয়, চমকে ওঠার মতো ব্যাপার হলেও ক্যামেরার সব ছবিও উদ্ধার করা গেছে।
কলোরাডোর বাসিন্দা স্পেনসার গ্রিনারের মাছ ধরার নেশা। কখনো ছিপে, আবার কখনো জাল নিয়ে নদী-নালায় নেমে পড়েন তিনি। সম্প্রতি অ্যানিমাস নদীতে মাছ ধরতে নামেন তিনি। জাল ফেলার পর তাতে কোনো ভারী জিনিস আটকানোর সংকেত পান। জাল গুটিয়ে নিজেই নেমে পড়েন নদীতে। দেখেন, ঘোলা পানির একেবারে তলায় বালির মধ্যে কিছু একটা আটকে আছে। হাত দিতেই বুঝতে পারেন, একটি ক্যামেরা। দ্রুত তা তুলে নদী থেকে উঠে আসেন স্পেনসার। তখনো তিনি জানেন না যে ক্যামেরাটি ১৩ বছর আগে পানিতে পড়ে গিয়েছিল।
স্পেনসার বাড়িতে ফিরেই ক্যামেরার কার্ড স্লট থেকে মেমোরি কার্ডটি বের করার চেষ্টা করেন। অনায়াসে তা বেরিয়ে আসে হাতে। তারপর নিজের কম্পিউটারের সঙ্গে ওই কার্ড সংযুক্ত করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই কার্ড কাজ করতে শুরু করে। কম্পিউটারের পর্দায় আসতে থাকে একের পর এক ছবি। ওই মেমোরি কার্ডে স্পেনসার বহু ছবি খুঁজে পান।
স্পেনসারের পরবর্তী চিন্তা ছিল মালিকের হাতে ক্যামেরাটি ফেরত দেওয়া। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি গ্রুপে কিছু ছবি পোস্ট করে জানতে চান, কেউ এই ছবির চরিত্রগুলোর সঙ্গে পরিচিত কি না। সেই পোস্ট দেখতে পান কোরালের এক বন্ধু। সেই বন্ধুরও মনে পড়ে বছর ১৩ আগে নদীতে ক্যামেরা হারিয়েছিলেন কোরাল। দ্রুত কোরালকে ওই ছবিগুলো ট্যাগ করেন তিনি। তার পরই কোরাল জানতে পারেন, নদীতে হারিয়ে যাওয়া ক্যামেরা উদ্ধার হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ক্যামেরার মেমোরি কার্ডও কাজ করছে বহাল তবিয়তে। হতবাক কোরাল যোগাযোগ করেন স্পেনসারের সঙ্গে। হাতবদল হয় ক্যামেরার।
এ ঘটনার কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পেনসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট করেছেন কোরাল। তাতে তিনি লিখেছেন, প্রিয় ক্যামেরাটি যে তিনি আর কখনোই ফেরত পাবেন না, তা ভাবতেও কষ্ট হতো তার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই কষ্ট বদলে গেছে স্মৃতিচারণায়। ‘সত্যি বলতে, ক্যামেরা বা ছবিগুলো যে আবার কখনো দেখতে পাব তার আশা ছিল না। তাই আচমকা ছবিগুলো ফেরত পেয়ে বুঝতে পারছি না কী করব!’
বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী ওয়েব সিরিজ এটি, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
কোরাল জানিয়েছেন, নদীর যে জায়গায় ক্যামেরাটি পড়েছিল, গত ১৩ বছরে স্রোতের টানে তা প্রায় দুই কিলোমিটার এগিয়েছিল। সেখানেই জাল ফেলেছিলেন স্পেনসার। তাতেই আটকে যায় তার হারিয়ে যাওয়া ক্যামেরা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।