সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবু বক্করকে ছাড়িয়ে নিতে তদবীর করেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এআরএম আল-মামুন জামায়াতের নেতাকর্মীদের তদবীরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি জানান, মো. আবু বক্করকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্কর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের কাতরাসিন গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে ও উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও নাশকতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে আবু বক্করের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। তদন্তের ভিত্তিতে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার সকালে থানায় যান উপজেলা জামায়াতের আমীর হাতেম আলী, সেক্রেটারি আবু তালেবসহ কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা আবু বক্করকে জামায়াতের কর্মী দাবি করে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে তদবীর করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর হাতেম আলী বলেন, আবু বক্কর একসময় শিবির কর্মী ছিলেন। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় তার ব্যবসা-বাণিজ্যে সমস্যা হচ্ছিল, তাই তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে ৫ আগস্টের ঘটনার পর তিনি পুনরায় জামায়াতে ফিরে আসেন। সেই কারণেই আমরা তাকে ছাড়ানোর জন্য থানায় গিয়েছিলাম।
শিবালয় থানার ওসি এআরএম আল-মামুন বলেন, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও নাশকতার মামলায় আবু বক্করকে বুধবার মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সেক্রেটারিসহ কয়েকজন থানায় এসে তাকে জামায়াতের কর্মী দাবি করে মুক্তি দেওয়ার জন্য তদবীর করেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আবু বক্কর আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। তবে তদবীরে আসা নেতাকর্মীরা বক্করের স্বপক্ষে তাদের দলের কোনো পদপদবী দেখাতে না পেরে চলে যান। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।