জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও জাহাঙ্গীরের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল (শনিবার) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅগণঅভ্যুত্থানে শহিদ সাংবাদিকদের পরিবারের হাতে অর্থ সহায়তা ও সান্তানদের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার গুলোর কষ্ট ও বেদনা আজ পুরো দেশের জনগণের কষ্টে পরিণত হয়েছে। তাদের স্ত্রীরা পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। নতুন এই বাংলাদেশে আমরা ছাত্র জনতার এই বিপ্লবের প্রত্যেক শহিদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাশা করছি। শত শত শহিদের রক্ত এই জমিনকে উর্বর করেছে। আগামীর বাংলাদেশ যেন এই শহিদদের স্বপ্নের আলোকে গড়ে তোলা হয় সে প্রচেষ্টা আমাদের চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট সন্তানেরা পিতাকে হারিয়েছে, অসংখ্য স্বজন তার প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে আজ পাগল পারা। পরিবার গুলো আজ তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান সরকার অবশ্যই এসব শহিদদের পাশে দাঁড়াবে। জামায়াতে ইসলামী দেশে মানবতার কল্যাণকামী সংগঠন হিসেবে বসে থাকতে পারে না, আমাদের দায়িত্ব আছে এসব শহিদ ভাই-বোনদের পরিবারের জন্য। এই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই আমরা শহিদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলাওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নতুন দেশ গঠনে গণ অভ্যুত্থানের শহিদেরা আমাদের প্রেরণার উৎস। তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। হত্যাকারীদের বিচারের ব্যাপারে প্রতিটি পরিবার জোর দাবি তুলছে। দেশ ও জাতির অগ্রগতির স্বার্থে অবশ্যই প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে। ন্যায়বিচার পাওয়া প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা প্রতিটি শহিদ পরিবারকে আশ্বস্ত করছি যেকোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে থাকবো। এই ঘটনায় ভিকটিম সবার কাছে যে কোন প্রয়োজনে আমরা ছুটে যাব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।