বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশের একজন বিজ্ঞানী সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, সে সেরা। আমি তার কাছে কিছুই না। ‘সায়েন্স ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি বিজ্ঞান ম্যাগাজিন ২০০৭ সালে জামাল নজরুল ইসলামকে নিয়ে একটি ফিচার ছাপিয়েছিল। বাংলাদেশের কোনো ম্যাগাজিনে তাঁকে নিয়ে লেখা এটিই ছিল- প্রথম ও শেষ ফিচার।
‘কৃষ্ণবিবর’ নামে তাঁর একটি বই আছে, যেটা বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/05/723427571.jpg)
শুধু এটাই নয়, ‘কৃষ্ণবিবর’ ‘দ্য আল্টিমেট ফেইট অব ইউভার্স’ ‘রোটেটিং ফিল্ডস ইন জেনারেল রিলেটিভিটি’ বইগুলো অক্সফোর্ড কেমব্রিজ আর হার্ভার্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও ১০০ টারও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পড়ানো হয়।
যে দেশে তিনি জন্মেছিলেন, সেই বাংলাদেশের কোন একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বই থেকে কোন লেকচার দেয়া হয় বলে আমার জানা নেই।
২০০১ সালে যখন পৃথিবী ধ্বংস হবার একটা গুজব উঠেছিল তখন জামাল নজরুল ইসলাম অংক কষে বলেছিলেন, পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে ছুটে চলে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই।
স্টিফেন হকিং কে চিনে না এমন মানুষ খুব কম আছে। তাঁর লেখা ‘অ্যা ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ বইটি এক কোটি কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছে সারাবিশ্বে । সে বইটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/05/442835875.jpg)
এই বইটি প্রকাশের প্রায় ৫ বছর আগেই ১৯৮৩ সালে জামাল নজরুল ইসলাম ‘দ্যা আল্টিমেট ফেইট অব দ্য ইউনিভার্স’ বইটি লিখেছিলেন। দুটো বই-ই প্রায় একই সব টপিকের উপর লিখা। ব্লাকহোল, ওয়ার্ম হোল, সুপারনোভা, কসমিক রেডিয়েশন, প্যারালাল ইউনিভার্স, বাটারফ্লাই ইফেক্ট ইত্যাদি সব জোতিপদার্থর্বিজ্ঞানীয় ব্যাপারগুলোই ঘুরে ফিরে দুটো বইতেই উঠে এসেছে।
কিন্তু তুলনামূলক বিচারে জামাল নজরুল ইসলামের বইটিকেই বিশ্বখ্যাত বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা অধিক মূল্যায়ন করেছেন। যেটি প্রকাশিত হয়েছিল হকিং এর বইয়েরও প্রায় ৫ বছর আগে।
অথচ হকিংয়ের বই নিয়ে যতটা না মাতামাতি সারাবিশ্বে হয়েছে, তার ছিঁটেফোঁটাও হয়নি জামাল নজরুল ইসলামের কোন বই নিয়ে।
বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের ৭ জন শ্রেষ্ট বিজ্ঞানীর নাম বলতে গেলে সে তালিকায় নাকি জামাল নজরুলের নামও চলে আসবে। বিশ্বের বুকে বাংলার গর্ব জামাল নজরুল ইসলাম।
১৯৮১ সালে লন্ডনের লাখ টাকা বেতনের চাকরি এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে মাত্র ৩ হাজার (২৮ শত) টাকা বেতনের চাকরি নিয়ে তিনি চলে আসেন মাতৃভূমি বাংলাদেশে। বাংলাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি। তাই সব সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দেশে চলে এসেছিলেন।
সংগৃহীত: মহাকাশের যত কথা
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।