জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর চরে নতুন পলিমাটিতে চাষ হচ্ছে লাল সোনা খ্যাত মরিচের। এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি ভালো দামে মরিচ চাষীর মুখে হাসি ফুটেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর জেলায় ১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। চাষকৃত মরিচের মধ্যে হাইব্রিড জাতের বিজলী, যমুনা, রশনী, ঝিলিক উন্নত জাতের মধ্যে বারি-৩, সুপার সনিক, রংপুরী, বগুড়া ছাড়াও স্থানীয় জাতের মরিচের চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে মরিচের উত্পাদন হয়েছে দশ দশমিক ৬৩ মেট্রিক টন। এবছর জেলায় শুকনা মরিচের উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৮৮ মেট্রিক টন।
স্থানীয় বাজার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে আর শুকনো মরিচ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় যমুনার চরে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। সিরাজগঞ্জের যমুনার চরে উত্পাদিত কাঁচামরিচ ও শুকনো মরিচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনতে আসছেন পাইকাররা। প্রতি সপ্তাহে শনি ও বুধবার কাজিপুরের নাটুয়াপাড়া হাট বসে। এই হাট থেকে দেশের বড় বড় কোম্পানির প্রতিনিধিসহ ব্যাপারীরা মরিচ কিনে নিয়ে যান। এ বছর চরের কৃষকরা মরিচ চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন।
সোনামুখী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ১ বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। শুকনো মরিচ বাজারে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। বর্তমান বাজারে চার মণ মরিচ ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান এই মরিচ চাষী।
নাটুয়াপাড়ার কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে মরিচের চাষ করেছি। এরই মধ্যে ২০ মণ কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি। আরও চার মণ মরিচ শুকিয়ে রেখেছি। এখন যদি শুকনো মরিচ বিক্রি করি তাহলে প্রায় এক লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব বলে আশা করি।
কাজিপুর উপজেলা উপ- সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান এবছর কাজিপুরে ৪৪০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এখানে মরিছের বাম্পার ফলন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত জানান এ বছর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগীতা ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবারে মরিচের বামাপার ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মন মরিচের ফলন হয়েছে ।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার জানান, এ বছর জেলায় ১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এ থেকে উত্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৮৮ মেট্রিক টন। মরিচের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা খুব খুশি। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে মরিচ চাষে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।