জুমবাংলা ডেস্ক : জ্বলন্ত সিগারেট বা মশার কয়েল থেকে বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করছে ডিএসসিসির তদন্ত কমিটি। তাদের ধারণা, কমপ্লেক্সের আদর্শ ও মহানগর মার্কেটের মধ্যের কোনো জায়গায় আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার কোনো আলামত পায়নি কমিটি।
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ইউনিটের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দেরিতে জমা দেওয়ায় আজ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি তদন্ত কমিটি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, বঙ্গবাজারে সংগঠিত অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে ডিএসসিসি। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আগুন লাগার সময় মার্কেটের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রহরী, ইলেকট্রিশিয়ান, কর্মরত ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতাসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছে কমিটি।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, মহানগর মার্কেট সংলগ্ন আদর্শ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি এমব্রয়ডারি কারখানায় প্রথমে আগুন লাগতে পারে। কারখানার কাছাকাছি কোনো বিদ্যুৎ বিতরণ বাক্স ছিলো না। নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গা ছাড়া পুরো মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিলো। মার্কেট দুটির বিদ্যুতের লাইন ধারাবাহিকভাবে রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। শুধু নিরাপত্তা প্রহরীদের থাকার জায়গা, মসজিদ ও মার্কেট অফিসে লাইট জ্বলছিলো। এছাড়া ওয়াইফাইয়ের রাউটার চালু ছিলো।
তদন্ত কমিটির ধারণা, আদর্শ মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার কক্ষ ছিলো। সেই কক্ষের নিচে ছিলো এমব্রয়ডারি কারখানা ও গুদাম। সেহরির সময় তৃতীয় তলা থেকে সিগারেটের জ্বলন্ত অংশ দ্বিতীয় তলায় পড়তে পারে। এতে এমব্রয়ডারি কারখানা বা গুদামে আগুন লাগতে পারে। এছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের থাকার স্থানে জ্বলন্ত মশার কয়েল থেকেও আগুন লাগতে পারে।
আবু নাছের বলেন, তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সংখ্যা আনুমানিক ৪ হাজার ২০০ জন। তবে সুনির্দিষ্ট সংখ্যা প্রতিবেদন দাখিলের পর জানানো হবে। অবশ্য এ তালিকায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেট এনেক্স কো’র ব্যবসায়ীদের নাম নেই। এসব ব্যবসায়ীদের ইন্স্যুরেন্স করা আছে বিধায় তারা তালিকায় নাম দিতে চাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।