বিনোদন ডেস্ক : নির্দিষ্ট বয়সের পর কন্যাসন্তানের জন্য উপযুক্ত অন্তর্বাস (আপার গারমেন্টস) বেছে দেন মূলত মায়েরাই। তবে শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুরের ক্ষেত্রে এ নিয়মের দেখা গিয়েছিল হেরফের। মেয়ে বড় হওয়ার পরেও তাঁদের অন্তর্বাস পরতে দিতে নারাজ ছিলেন তিনি।
নির্দিষ্ট বয়সের পর কন্যাসন্তানের জন্য উপযুক্ত অন্তর্বাস (আপার গারমেন্টস) বেছে দেন মূলত মায়েরাই। তবে শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুরের ক্ষেত্রে এ নিয়মের দেখা গিয়েছিল হেরফের। মেয়ে বড় হওয়ার পরেও তাঁদের অন্তর্বাস পরতে দিতে নারাজ ছিলেন তিনি।
শেষমেশ মেয়ে জাহ্নবী কাপুরই জোর করেছিলেন মাকে। নিমরাজি হয়ে রাজি হন শ্রীদেবী। কেন বারণ করতেন অন্তর্বাস পরতে? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজেই জানিয়েছেন জাহ্নবী। কারণ শুনলে অবাক হতেই হয়! জাহ্নবী জানান, জীবনের একটা বড় সময় পর্যন্ত শ্রীদেবী মেনে নিতেই পারেননি তাঁর মেয়েরা বড় হচ্ছে।
তাঁর কথায়, “মা কিছুতেই বিশ্বাস করতেই পারেনি আমরা বড় হচ্ছি। অন্তর্বাস কেনার প্রসঙ্গ এলেই বারেবারে বলত, ওরা তো ছোট। এই সবের কী দরকার। বাধ্য হয়ে আমি মাকে বলি, যে সত্যিই দরকার। তখন মা কিনে দেয়।” জাহ্নবী জানান, মা হিসেবে বেশ রক্ষণশীল ছিলেন শ্রীদেবী। মেয়েদের জন্য অভিনয়ের কেরিয়ারও দেন জলাঞ্জলি।
তাঁর কথায়, “আমি যখন হই মা সব কিছু ছেড়ে দেন। শুধু বলতেন, ‘অনেক তো হল’। একদিন বাবাই বলে, মেয়েরা এবার বড় হয়ে গিয়েছে এবার কাজ করাই যায়। বাবা মাকে কথা দেয়, আমাদের স্কুল থেকে আনা নেওয়ার সব দায়িত্ব তাঁর। এত কিছুর পরে গিয়ে মা রাজি হয়।”
২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাথটবে ‘ডুবে’ মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর। তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজও রহস্য বর্তমান। তাঁর মৃত্যুর সময় বনি কাপুরের দিকেও অভিযোগের আঙুল ওঠে। যদিও শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর দুই মেয়েকে আগলে রেখেছেন বনি কাপুর। খুশি ও জাহ্নবীকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।