বিনোদন ডেস্ক : শশাঙ্ক খৈতান পরিচালিত ফিল্ম ধড়ক’-এর মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন জাহ্নবী কাপুর। এরপর আরব সাগর দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। জাহ্নবী ক্রমশ নিজেকে গ্রুম করেছেন। কয়েক বছর আগের জাহ্নবীর সাথে বর্তমানের জাহ্নবীর মিল খুঁজে পাওয়া ভার। এই মুহূর্তে টোনড ফিগারের অধিকারিনী জাহ্নবী। ওয়ার্কআউট সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন তিনি। একবার একটি অনুষ্ঠানে এসে বনি কাপুর জানিয়েছিলেন, জাহ্নবী জিমে ওয়ার্কআউট করার সময় তাঁর সময়ের জ্ঞান থাকে না। বন্ধ রাখেন ফোন। এমনও হয়েছে সকালে জিমে গিয়ে সন্ধ্যায় ফিরেছেন।
এর নেপথ্যের কারণ অবশ্যই শ্রীদেবী। অকালেই মাকে হারিয়েছেন জাহ্নবী। তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে জড়িয়ে রয়েছেন শ্রীদেবী। জাহ্নবী জানেন, মায়ের সাথে তাঁর তুলনা হবেই। কিন্তু তিনি মায়ের অংশ। ফলে সুপারস্টার শ্রীদেবীর কন্যা হিসাবে জাহ্নবী কোনো খামতি রাখতে চান না। শ্রীদেবী বেঁচে থাকতে প্রায় প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের টেবিল সাজানো হত ইডলি-সম্বর, ধোসার মতো দক্ষিণ ভারতীয় প্রাতরাশে। কিন্তু তাঁর অকালপ্রয়াণ বদলে দিয়েছে অনেক কিছুই। বর্তমানে জাহ্নবীর সকাল শুরু হয় চিয়া সিডস ভেজানো জল দিয়ে। ব্রেকফাস্টে থাকে টক দই, ওটস। তবে একদিন চিট ডে পালন করেন জাহ্নবী। সেদিন ওয়ার্কআউটও করেন না তিনি।
জাহ্নবী ইন্সটাগ্রামে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। চিট ডে-তে সারাদিন বাইরের খাবার খান তিনি। বাদ যায় না চকোলেট, জিলিপি, শিঙাড়া, কচুরি, আইসক্রিম, ব্রাউনি, কাস্টার্ড কোনো কিছুই।কিন্তু তাঁর অনুরাগীরা অবশ্য এই খাবারের তালিকা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কিন্তু জাহ্নবী জানিয়েছেন, সপ্তাহে একদিন সবকিছু খেলেও অল্প পরিমাণে খান তিনি। ফলে তাঁর ডায়েট প্রভাবিত হয় না।
খুব শীঘ্রই দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে জাহ্নবীর ডেবিউ ঘটতে চলছে কোরাতলা শিবা পরিচালিত ফিল্ম ‘এনটিআর 30’-র মাধ্যমে। এই ফিল্মে জুনিয়র এনটিআর-এর বিপরীতে অভিনয় করছেন জাহ্নবী। এছাড়াও হিন্দি ফিল্ম ‘বাওয়াল’-এ জাহ্নবীকে দেখা যাবে বরুণ ধাওয়ান-এর বিপরীতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।