বিনোদন ডেস্ক : বাবা মায়ের স্বপ্নপূরণ, কেরিয়ারের প্রতিটা ধাপে সন্তানের সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মা-বাবার আবেগ। তাঁদের এক এক কাজ সে যেমনই হোক না কেন, মা-বাবার কাছে গর্বের। তাঁরা আনন্দের সঙ্গে অধীর আগ্রহে এই সময়টা দেখার অপেক্ষাতেই দিনগোনেন।
কিন্তু সব ক্ষেত্রে কি স্বপ্নপূরণ হয়! হয় তো নয়। আর তা আক্ষেপ হয়েই থেকে যায় সন্তানদের মনে। প্রতিটা পলকে মা-বাবার আশীর্বাদ সঙ্গে থাকে সকলেরই, কিন্তু জীবনের বিশেষ দিনগুলোতে তাঁদের যদি কাছে না পাওয়া যায় তবে তার থেকে বড় কষ্ট আর বোধহয় কিছুই হতে পারে না। সম্প্রতি সেই আক্ষেপের সুরই শোনা গেল রুক্মিনীর কণ্ঠে। সম্প্রতি কিসমিস ছবির প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন রুক্মিনী-দেব।
দিদি নম্বর ওয়ার-এর সেটে এসে নিজের কেরিয়ারের শুরুর দিনের গল্প শোনাতে গিয়েই চোখ ভিজে এলো তাঁর। রুক্মিনীর পরিবারের কেউ সিনে দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়। তিনিও চাননি প্রথমে। তবে দেবই প্রথম তাঁকে জোর করেছিলেন অভিনয় জগতে পা রাখতে।
যেদিন প্রথম দেব রুক্মিনীর বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেদিন তাঁর বাবা চিনতেই পারেননি দেবকে। দীর্ঘ ১৫ বছর সিনেমা দেখিনা, জানিয়েছিলেন রুক্মিনীর বাবা। কথা দিয়েছিলেন, প্রিমিয়ারে যাবে না, তবে ছবি মুক্তির পর তিনি নিশ্চই ছবিটা দেখবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন সত্যি হয়নি। ছবি মুক্তির ১১ দিন আগেই তিনি প্রয়াত হন।
ঠিক একই আক্ষেপের সুর শোনা যায় জাহ্নবীর কণ্ঠে। তিনিই ধড়ক ছবির শুটিং-এর জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। শ্রীদেবী তা নিয়ে ছিলেন ভীষণ উৎসাহিত। প্রতিটা পদে পদে উপদেশ দিতেন জাহ্নবী কাপুরকে। কিন্তু ছবি মুক্তির আগেই ঘটে অঘটন। শ্রীদেবী হঠাৎই সকলকে ছেড়ে চলে যান। আর জাহ্নবীর প্রথম ছবি তাঁর অদেখাই থেকে যায়। বারে বারে সেই প্রসঙ্গ তুলে আক্ষেপের সুর শোনা যায় জাহ্নবীর কণ্ঠেও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।