Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ‘জানি না আমাদের কাহিনী প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত বাঁচব কি না’
আন্তর্জাতিক

‘জানি না আমাদের কাহিনী প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত বাঁচব কি না’

Shamim RezaNovember 13, 20238 Mins Read
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি। এরপরেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণ চলছেই।

আমাদের কাহিনী

যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় বোমা আক্রমণের মাঝে জীবন কেমন সেই সম্পর্কে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের জন্য দিনপঞ্জিকা লিখছেন চার জন। কীভাবে সবাই সারাটা দিন খাবার আর পানি খুঁজে বেড়াচ্ছেন, বিমান হানা থেকে বাঁচতে রাত্রিকালীন আশ্রয়স্থলে থাকছেন আর পরদিন সকাল পর্যন্ত যাতে বেঁচে থাকা যায় সেই প্রার্থনা করে চলেছেন।

শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর

স্থল আক্রমণ শুরু করার আগে ইসরায়েলি বিমান থেকে বেসামরিক নাগরিকরা কীভাবে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে, সেই সতর্কবার্তা দিয়ে প্রচারপত্র ছড়ানো হয়েছিল ইসরায়েলি বিমান থেকে। হামলার আগে দক্ষিণ গাজার দিকে চলে যাওয়ার সতর্কবার্তা ছিল তাতে।

ফরিদা, গাজা সিটির বাসিন্দা বছর ২৬-এর ফরিদা ইংরেজি পড়ান। তিনি তার প্রথম মেসেজে লিখেছিলেন, আমার পাশের তিনটি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে। আমাদের সবাইকে এখান থেকে বেরিয়ে পড়তে হবে কিন্তু কোথায় যাব জানি না। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা শুধু অপেক্ষা করছি। আমার অনেক বন্ধু নিখোঁজ, হয়তো মারা গেছে। এমনকি আমার বাবা-মায়ের কথাও জানি না।’ তিনি তার ছয় সন্তান আর ভাইবোনদের নিয়ে দক্ষিণ গাজার দিকে পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তারা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হাঁটছিলেন আর রাস্তাতেই ঘুমোচ্ছিলেন। তারা ওয়াদী গাজার সেই অংশে যেতে চাইছিলেন, যেই অংশটা ইসরায়েল সুরক্ষিত বলে জানিয়েছিল।

অ্যাডাম: গাজার খান ইউনিসে বসবাসরত যুবক অ্যাডাম একদিনে পঞ্চমবারের মতো নিরাপদ স্থানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। পেশায় শ্রমিক ওই যুবক বলেন, ‘গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে দক্ষিণে চলে যেতে বলা হয়েছে, বিশেষত খান ইউনিসে। তবে খান ইউনিসেও বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। একটা বোমা তো আমার বাড়ির কাছে পড়েছিল।’

ইসরায়েল গাজাকে সম্পূর্ণ অবরোধ করার পর খাদ্য, ওষুধ ও পেট্রোল দ্রুত কমে এসেছে। পার্কিনসনস রোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ বাবার যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলিও অ্যাডাম পাচ্ছেন না। এমনকি হাসপাতালেও কোনো শয্যা পাননি তিনি। আগের রাতে তাকে একটি হাসপাতাল চত্বরের মেঝেতে ঘুমোতে হয়েছিল।

খালিদ: খালিদ উত্তর গাজার জাবালিয়ায় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবারহ করেন। আকাশপথে বিলি করা সতর্ক-বার্তাবাহী প্রচারপত্র পাওয়ার পরও খালিদ কিন্তু তার পরিবারের সঙ্গে অন্যত্র যেতে রাজি হননি ।

একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, কোথায় যাব আমরা? কোনো স্থানই সুরক্ষিত নয়। সর্বত্র একই অবস্থা। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমরা মরব। তিনি যখন মেসেজটি পাঠাচ্ছিলেন, পিছনে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল। খালিদ তার নিকট আত্মীয়ের দু’জন ছোট শিশুরও দেখাশোনা করেন। পাশের বাজারে হওয়া হামলায় বেঁচে গিয়েছিল ওই দু’জন।

খালিদ বলেন, আহত মানুষের সংখ্যা বিপুল এবং সেই কারণে ওষুধের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। কিছু ওষুধ কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়, কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, অথচ ওগুলো জরুরি ওষুধ ছিল। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি চিকিৎসা সরঞ্জাম যে বিক্রি করতে পারছেন না, সে কথাও খালিদ জানিয়েছেন।

সোমবার, ১৬ অক্টোবর

সালাহ আল: দিন রোড থেকে দক্ষিণদিকে রওনা দেওয়া এক ঝাঁক যানবাহনের উপর একটি বোমা আঘাত হানে। এটি কিন্তু দুটি নিরাপদ করিডোরের মধ্যে একটি। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই হামলার দায় অস্বীকার করেছে।

দক্ষিণাঞ্চলে যেভাবে হামলা হচ্ছে, তার ফলে অনেক ফিলিস্তিনি উত্তরাঞ্চলে তাদের বাড়িতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। যারা দক্ষিণে আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তারাও এখন ফিরে আসছেন।

ফরিদা: বেশ কিছু দিন রাস্তায় কাটানোর পর ফরিদার আর সাহস নেই। তিনি বলেন, আমি যা অনুভব করছি বা চারপাশে কী ঘটছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমাদের চারপাশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ হচ্ছে আর বাচ্চারা কেঁদেই চলেছে। কোথায় যাব আমরা জানি না। গাজায় রাতেও আপনি জানেন না পরদিন সকাল পর্যন্ত বাঁচবেন কি না। আমি এখন হিজাব পরে আমার পরিবারের সঙ্গে বসে আছি। আকাশপথে যে কোনও বোমা হামলার মুখোমুখি হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর

গাজা সিটির আল আহলি হাসপাতালে হামলায় ৪৭১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু যারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ইসরায়েল দাবি করেছে, এই বিস্ফোরণে তাদের কোনো হাত নেই এবং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের রকেট মিস ফায়ার হওয়ার কারণে এই বিস্ফোরণ।আব্দেলহাকিম: যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস আগে আব্দেলহাকিম সফটওয়্যারে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তারা মধ্য গাজার আল বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করেন। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালে বিস্ফোরণের সময় তার অনেক বন্ধু সেখানে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন আহত হন আর অন্যজনের পুরো পরিবার মারা যায়।

ফ্ল্যাশলাইটের আলোয় রেকর্ড করা ভিডিওতে তিনি বলেন, আমার বয়স ২৩ বছর। আমি এখনও পর্যন্ত বেঁচে আছি। জানি না আমার কাহিনী প্রকাশ পাওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকব কি না। যেকোনো সময়ে, আমি জঙ্গি বিমানের শিকার হতে পারি।

আব্দেলহাকিমের কথায়, আমাদের কাছে পানি নেই। ওষুধ, বিদ্যুৎ বা অন্য কোনও প্রয়োজনীয় জিনিস নেই। ভাই-বোনদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া এক টুকরো রুটি ছাড়া, আমি তিন দিন ধরে কিছুই খাইনি। গত ১২ দিনে আমি এবং আমার পরিবার ১০ ঘণ্টা ও ঘুমাইনি। আমরা খুব ক্লান্ত। উদ্বেগের কারণে আমরা বিশ্রামও নিতে পারছি না।

তিনি এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা তার বাড়ি থেকে ত্রাণ বিতরণ করছেন। আব্দেলহাকিম বলেছেন, আমরা ত্রাণ সামগ্রী এবং কম্বল প্রস্তুত করছি। শিশুরাও সাহায্য করছে। মিশর থেকে ট্রাক আসার জন্য অপেক্ষা না করে আমরা নিজেরাই উদ্যোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,”

শুক্রবার, ২০ অক্টোবর

ইসরায়েলি বিমান হামলায় আব্দেলহাকিমের বাড়ি গুঁড়িয়ে যায়। সেই ভেঙে পড়া বাড়ির একটি ভিডিও পাঠিয়েছেন তিনি। ওই ভিডিওতে, ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে উদ্ধারের চেষ্টা করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে মানুষের চিৎকার শোনা যাচ্ছে।

আব্দেলহাকিম: আব্দেলহাকিম বলেন, আমরা সবাই বসে ছিলাম যখন হঠাৎ একটি রকেট বাড়িতে পড়ে। আমরা অনেক কষ্টে বার হতে পারলেও আমাদের প্রতিবেশীরা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। আমরা তাদের খুঁজতে গিয়েছিলাম, কিন্তু কাউকে পাইনি। প্রতি মিনিটে, প্রতি ঘন্টায় আমরা মৃত্যুর ঘেরাটোপের মধ্যে বেঁচে আছি।

আশ্চর্যজনক ভাবে আমি এবং আমার পরিবার বেঁচে গেছি। বাড়ির কিছু অংশ ঠিক করছি যাতে আমরা এখানে থাকতে পারি আর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে পারি, বলেন তিনি।

বুধবার, ২৫ অক্টোবর

আব্দেলহাকিমের বাড়ির কাছেই আরেকটি বিমান হামলা হয়। গাজায় এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৭২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আব্দেলহাকিম: এবার তিনি কিছু টেক্সট মেসেজ এবং রুক্ষ কণ্ঠে রেকর্ড করা বার্তা পাঠাতে পেরেছেন।

তিনি লিখেছেন, সাহায্যের জন্য আমি কিছুই করতে পারিনি। চারপাশে শরীরের টুকরো দেখে কেমন যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিলাম। এখানে কেউ নিরাপদ নয়, আমরা সবাই শহীদ হতে চলেছি।

মিশর সংলগ্ন রাফাহ সীমান্তে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলিকে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে যে পরিমাণ পণ্য আসছে তা গাজার বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনের তুলনায় কিছুই নয়।

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪ লাখেরও বেশি মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে।

অ্যাডাম: পরিবারের জন্য খাবার খোঁজার লড়াই কথাই সবসময়ে তার মাথায় ঘুরছে। অ্যাডাম বলেছেন, লাইনে না দাঁড়িয়ে খাবার পেতে আমাকে প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, যখন আপনাকে স্কুল প্রাঙ্গণে ঘুমোতে হয়, তখন আপনার ভিতরে একটা ভাঙন ধরে। যখন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঘুমোতে হয়, তখন আপনার ভেতরে কিছু একটা ভেঙ্গে যায় বৈকি। রুটির জন্য লাইনে দাঁড়ালে অথবা জলের জন্য কাকুতি মিনতি করার সময়ও তীব্র ভাঙন ধরে।

খালিদ: ওরা ক্রমাগত আমাদের উপর বোমাবর্ষণ করছে এবং আমরা জানি না কখন রুটি আনতে বাইরে যেতে পারব। খাবার সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ নেই। আমরা নষ্ট খাবার,পচে যাওয়া টমেটো খাচ্ছি। ফুলকপি থেকে পোকামাকড় বেরিয়ে আসছে। এটি খাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই কারণ অন্য কিছুই নেই। পচে যাওয়া অংশগুলো ফেলে দিয়ে বাকিটাই খেতে হবে, খালিদ জানিয়েছেন তার বার্তায়।

ফরিদা: ফরিদার পরিবার উত্তর গাজায় তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা দক্ষিণে থাকার কোনও জায়গা পাইনি। সামান্য প্রয়োজনের জিনিসও আমাদের কাছে ছিল না। আমরা যেখানে ছিলাম, সেখানে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ চলছিল। নিজেদের সম্মান রক্ষার খাতিরে অন্তত আমরা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দিনে যদি চার-পাঁচ মিনিটও শান্তিতে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারি তাহলে আমরা খুবই খুশি হয়ে যাই। ফিরে আসার অল্প সময়ের মধ্যেই বোমা হামলায় ফরিদার বাড়ির একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর রাস্তা ধ্বংস হয়ে যায়।

শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর

ইসরায়েল তাদের স্থল আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ইন্টারনেট এবং ফোন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে ৪৮ ঘণ্টা যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। আমরা অ্যাডাম, আব্দেলহাকিম, ফরিদা ও খালিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। নেটওয়ার্ক চালু হলে তারা পরিস্থিতির বর্ণনা করেন।

আব্দেলহাকিম: তিনি বার্তা পাঠিয়েছেন, গত রাতে ভারী বোমাবর্ষণ হয়েছিল। যোগাযোগের কোনো উপায় নেই। অ্যাম্বুলেন্সও মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবে না, তাই আক্রান্তরা ঘটনাস্থলেই মারা যাচ্ছেন।

অ্যাডাম: ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমি ভালো আছি। কিন্তু যে সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, সেই সময়, বাবা মারা যান। তার আত্মা শান্তিতে পাক। আমি পুরোপুরি অসাড় হয়ে পড়েছিলাম সে সময়ে, এমনকি আমার কাছের লোকদেরও কিছু বলতে পারিনি। সেই সময় কী ঘটেছিল তা ও বলতে পারিনি।

ফরিদা: আমার বন্ধু মারা গেছে এবং আমার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। আমার ভাই আহত হয়েছে। এই কষ্ট আমায় কুঁড়েকুঁড়ে খাচ্ছে। আমরা ঠিক নেই। আমরা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছি, কান্না ভেজা কণ্ঠে তিনি বলেন।

খালিদ: দিনটি মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল তবে যখন ইন্টারনেট কাজ করা শুরু করলে আমরা খবর পেতে থাকি। বাড়ির পর বাড়ি, ব্লকের পর ব্লক ধ্বংস হয়ে গেছে। পুরো পরিবারের সবাই মারা গিয়েছেন। পরিস্থিতি খুবই ভীতিকর। ওরা প্রথমে আমাদের পৃথিবীর বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় আর তারপর গণহত্যা শুরু করে।

সোমবার, ৩০ অক্টোবর

ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি গাজা সিটির দিকে এগিয়ে আসছে এবং সালাহ আল-দিন রোড থেকে সেগুলি দেখা যায়। এটি উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজা পর্যন্ত প্রধান নিরাপদ সড়ক। খালিদের শেষ বার্তা, আমি যাচ্ছি না। এখন আমরা ভাবছি, হে আল্লাহ, পরবর্তী বোমা কখন পড়বে যাতে আমরা সবাই মরতে পারি এবং শান্তি পাই। এটাই খালিদের কাছ থেকে পাওয়া শেষ বার্তা।

এরপরে ৩১ অক্টোবর তিনি যে অঞ্চলে থাকতেন, সেই জাবালিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর থেক তার সঙ্গে বিবিসির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই হামলায় ১০১ জন নিহত ও ৩৮২ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েল বলেছে, তারা বেসামরিক নাগরিকদের নিশানা করছে না, বরং হামাসের একজন সিনিয়র কমান্ডার তাদের মূল লক্ষ্য।

ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস তাদের সদস্যদের বেসামরিক এলাকায় রেখেছে। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য , ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ আগে থেকেই হামাসকে চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বন্ধুর স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন এই অভিনেত্রী

ফরিদা: আমার কিছু স্বপ্ন আছে। আমার পরিবার এবং বন্ধুদের একটি বিশাল বৃত্ত রয়েছে। জীবনটা ভারী সুন্দর। আমরা যখন মরে যাব, তখন কী ঘটছিল সে সম্পর্কে কেউ কিছুই জানবে না। দয়া করে আমি যা বলছি তা লিখে রাখুন। আমি আমার কথা পুরো বিশ্বকে জানাতে চাই। কারণ আমি কেবল একটি সংখ্যা নই।অ্যাডাম: অ্যাডামের বার্তা, আমি আপনাদের এই পুরো ঘটনাটি জানিয়ে রাখতে চাই, যাতে এটা নথি হিসেবে থেকে যায়, যাতে বিশ্ব চিরকাল লজ্জা বোধ করে যে আমাদের সঙ্গে যা হলো, তারা সেটা ঘটতে দিয়েছে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
আন্তর্জাতিক আমাদের আমাদের কাহিনী কাহিনী কি জানি না পর্যন্ত পাওয়া প্রকাশ ফিলিস্তিন যুদ্ধ বাঁচব
Related Posts
রমজান ও ঈদ কবে

রমজান ও ঈদ কবে হতে পারে জানাল সংযুক্ত আরব আমিরাত

December 17, 2025
ট্রাম্প নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহুর ওপর ফের ক্ষেপলেন ট্রাম্প, দিলেন ‘কড়া’ বার্তা!

December 17, 2025
ট্রাম্প

আরও ৭ দেশের নাগরিকের জন্য ট্রাম্পের বড় দুঃসংবাদ

December 17, 2025
Latest News
রমজান ও ঈদ কবে

রমজান ও ঈদ কবে হতে পারে জানাল সংযুক্ত আরব আমিরাত

ট্রাম্প নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহুর ওপর ফের ক্ষেপলেন ট্রাম্প, দিলেন ‘কড়া’ বার্তা!

ট্রাম্প

আরও ৭ দেশের নাগরিকের জন্য ট্রাম্পের বড় দুঃসংবাদ

সু চি

এবার অং সান সু চি’র মৃত্যুর খবর, যা বলছে মিয়ানমার জান্তা

বিজয় দিবস উদযাপন

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন

ক্রীড়ামন্ত্রীর পদত্যাগ

মেসির কলকাতা সফরে বিশৃঙ্খলার জেরে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদত্যাগ

পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদত্যাগ

মেসির আগমনে বিশৃঙ্খলার জেরে পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদত্যাগ

সাইকেলে ১৮ হাজার কিমি পথ পাড়ি

সাইকেলে চড়ে ১৮ হাজার কিমি পথ পাড়ি

Indian Rupee

একদিনেই একাধিক রেকর্ড ভাঙল ভারতীয় মুদ্রা

রুপার দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে

রুপার দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগে বাড়ছে চাহিদা

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.