জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতীক্ষার প্রহর শেষ। আনুষ্ঠানিকভাবে বুধবার চলবে দেশের প্রথম মেট্রারেল। উদ্বোধন করবেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি রুটে অত্যাধুনিক ও দ্রুতগতির গণপরিবহণ স্বস্থির দরজা খুলে দেবে যানজটের নগরীতে। নিদিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে মানুষ। নির্মাণযজ্ঞে হাজারো ভোগান্তি পোহালেও এ বছরের সেরা উপহার প্রাপ্তিতে উচ্ছসিত নগরবাসী। মানুষের প্রত্যাশা-প্রাপ্তির সে গল্প শোনাচ্ছেন, মুহাম্মদ নূরন নবী।
আরামদায়ক, দ্রুতগতির ও নিরবিচ্ছিন্ন-গণপরিবহন। স্বস্থিতে চলাচলে-এমন সেবা’র দাবি যুগযুগ ধরে। কোন উদ্যোগে সুষ্ঠু সমাধান না হলেও এবার দিন বদল হবে বলা যায়। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথে মেট্রোর বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হচ্ছে।
এক বছর পর, মতিঝিল পর্যন্ত পুরো ২১ কিলোমিটার পথেই চলবে মেট্রো ট্রেন। ভোর ছ’টা থেকে রাত ১০টা-চলবে মেট্রো। স্টেশনগুলোতে প্রতি ৪ মিনিটে একটি ট্রেন থামবে। চলবে ১ ‘শ কিলোমিটার গতিতে। ২০ মিনিটে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পৌঁছে দেবে।
“যেখানে পরিবহন চাহিদা বিপুল, মেগা সিটি সেইসব জায়গায় মেরুদণ্ড হিসাবে মেট্র সাকসেসফুল।” বলেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শাসসুল হক। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “এটা ধনী গরিব সবার পরিবহন, এখানে সবাই চড়তে পারবেন।”
প্রতিটি ট্রেনে ৬টি কোচ থাকবে। একেকটি চওড়া ৯ ফুট। দুই প্রান্তের ট্রেইলর কার এ চালক ছাড়াও ৪৮ জনের বসার আয়োজন থাকবে। বাকি চারটি মোটর কার-এ ৫৪ জন বসতে পারবে। প্রতিটি ট্রেনে বসে ও দাঁড়িয়ে ভ্রমন করতে পারবে, ৩ শয়ের বেশি যাত্রী।
“চলার ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা, নির্ভরযোগ্যতা, দ্রুতগতিতা এই দিকগুলো থেকে ঢাকাবাসী বঞ্চিত ছিল। কোনোভাবেই নির্ভরযোগ্যভাবে যাওয়ার গ্যারান্টি ছিলো না। এই এলাকায় যারা থাকবেন তারা এখন মেট্র ব্যবহার করলে এটলিস্ট গন্তব্যের কাছাকাছি স্টেশনে নির্ভরযোগভাবে দ্রুত গতিতে যেতে পারবেন।” বলেন, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শাসসুল হক।
অসহনীয় যানজট আর লক্করঝক্কর মার্কা গণপরিবহনে’র তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকা নগরবাসী এরকম অত্যাধুনিক গণপরিবহনের বাণিজ্যিক চলাচলে বেজায় খুশি। “কাজীপাড়া থেকে দশ নম্বর সাধারণত আধাঘণ্টার আগে আসা যায়না। মেট্রোরেলে তা পাঁচ মিনিটেই আসা যাবে।” বলেন এক পথচারী।
আরেকজন বলেন, “আমাদের বাণিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিল, মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত হলে ভালো হত।” কেউ কেউ আবার বলেন, মেট্রোর ভাড়াটা আরেকটু কমানো হলে চাকরীজীবীদের জন্য সুবিধা হত।
লাইনের একাংশ’র চালুতে পুরো প্রত্যাশা’র যোগান আসবে না ঠিকই। কিন্তু, চলাচল সহজ করে স্বস্থি এনে দেবে। স্থায়ী-অস্থায়ী কার্ডে চলাচলের সুযোগ থাকা ইলেকট্রিক ট্রেনের সর্ব নি¤œ ভাড়া কুড়ি টাকা। উদ্বোধনের পর দিন থেকে মেট্রোতে চলাচল করতে পারবে-রাজধানীবাসী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।