বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : স্পেস এলিভেটর মহাকাশে প্রবেশে একটি বিপ্লবি ধারণা। এই তাত্ত্বিক কাঠামোটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের সাথে নোঙ্গর করা একটি কেবল বা টিথার নিয়ে গঠিত, যা মহাকাশে প্রসারিত হবে। সম্ভবত একটি কাউন্টারওয়েট বা ভূস্থির কক্ষপথে একটি উপগ্রহ পর্যন্ত এটি বিস্তৃত থাকবে।
১৮৯৫ সালে রুশ বিজ্ঞানী কনস্তানতিন তিসিওলকোভস্কি প্রথম এই ধারণার প্রস্তাব করেন। এই কেবলটি ব্যবহার করে প্রথাগত রকেট চালনা ছাড়াই সরাসরি কক্ষপথে উপকরণ ও মহাকাশযান পরিবহনের কথা বলা হয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রযুক্তি আমাদের একটি কার্যকরী স্পেস লিফট তৈরি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করেছে। কিন্তু জাপানের ওবায়াশি করপোরেশন মনে করছে, তারা এটা করতে পারে। বিজনেস ইনসাইডারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়োজি ইশিকাওয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ‘গবেষণা ও উন্নয়ন, রাফ ডিজাইন, পার্টনারশিপ বিল্ডিং এবং প্রমোশনে কাজ করছে। মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে ছয় থেকে আট মাস সময় নেওয়ার পরিবর্তে, বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছে, একটি স্পেস এলিভেটর আমাদের তিন থেকে চার মাসের মধ্যে সেখানে নিয়ে যেতে পারে।
ওবায়াশি কর্পোরেশন ২০১২ সালে প্রথম একটি স্পেস এলিভেটরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা ২০২৫ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প নির্মাণ শুরু করবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
তবে ইশিকাওয়ার মতে, আগামী বছর নির্মাণ কাজ শুরু হবে না। এদিকে, কিছু বিশেষজ্ঞ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এই ধরনের কাঠামো আদৌ সম্ভব কিনা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।