আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে জাপানের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। তারা ভূমিকম্পের সময় ভবনগুলোকে রক্ষা করার জন্য সেগুলোকে মাটির উপরে স্থাপনের নতুন নকশা প্রণয়ন এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে এয়ার ড্যানশিনকে ব্যতিক্রমিই বলা যায়। কারণ তারা ইতোমধ্যেই মাটির উপরে ভাসমান একটি বাড়ির ধারণাগত চিত্র উন্মোচন করেছে, যা ভবনের নীচে বেলুনের মতো কাঠামোর উপর নির্মিত।
এই ভবনগুলো বিল্ট-ইন সেন্সর দিয়ে সজ্জিত যা ক্রমাগত ভূমিকম্পের কার্যকলাপ এবং কম্পন পর্যবেক্ষণ করে। যখন এই সেন্সরগুলো কোনও ভূমিকম্পের কার্যকলাপ সনাক্ত করে, তখন তারা ভবনের বাইরে অবস্থিত একটি বাহ্যিক বায়ু সংকোচনকারীকে সংকেত পাঠায়। এই কম্প্রেসারটি ভবনের নীচে স্থাপিত একটি ভূমিকম্প-প্রতিরোধী ফাউন্ডেশনে বায়ু পাম্প করে। তাতে বাড়িটি মাটির উপরে উঠে সুরক্ষা পায়।
বর্তমানে স্থপতিরা নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য চৌম্বকীয় লেভিটেশন প্রযুক্তির সম্ভাব্যতা অন্বেষণ করছেন। যদিও এই প্রযুক্তিটি ইতোমধ্যে জাপানের উচ্চ-গতির বুলেট ট্রেনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এই প্রযুক্তি এখনও ভবনগুলিতে প্রয়োগ করা হয়নি। তবে ভাসমান বাড়ির ধারণাটি এখনো আলোচনার মধ্যেই রয়ে গেছে, জাপানের উদ্ভাবনের ইতিহাস থেকে বোঝা যায় যে তারা এই প্রবণতাকে এগিয়ে নিতে পারে।সূত্র: টেক ড্যাড
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।