যারা ইসলামের কথা বলে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী নয় : আজহারি

Mizanur Rahman Azhari

জুমবাংলা ডেস্ক : জনপ্রিয় ইসলামী স্কলার ও গবেষক ড. মিজানুর রহমান আজহারি বলেছেন, ‘এ দেশের আসল পরিচয় হলো ইসলাম। যারা ইসলামের কথা বলে, যারা কুরআনের কথা বলে, এরা ধর্ম ব্যবসায়ী নয়। আলেমদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন না। আলেমবিদ্বেষী হবেন না।

Mizanur Rahman Azhari

তাহলে দুনিয়াও শেষ, আখেরাতও শেষ। নিজেকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করাবেন না।’ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস মাঠে লাখো জনতার উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মিজানুর রহমান আজহারি বলেন, ‘ইসলাম ছাড়া আমরা অন্য কিছু মানি না, মানব না।

ইসলামবিরোধী কোনো মতবাদ মানব না। ইসলাম আছে, ইসলাম থাকবে। যারা ইসলামকে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে চায়, ওরা জানে না ইসলামের ধর্ম কী। ইসলাম চারা বীজের মতো, ইসলামকে জমিনে গেড়ে দিলে শাখা-প্রশাখার মতো আসমানের দিকে উঠে যায়।’

মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন শতবর্ষী আলেমে দ্বীন হাফেজ মাওলানা নূরুল ইসলাম। আয়োজক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সারের সঞ্চালনায় মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মু. কামরুল হাসান মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সোহেল। বয়ান করেন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ শায়খ শাহ ওয়ালী উল্লাহ, বেতার ও টেভির তাফসিরকারক শাইখ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, মাওনালা মনিরুল ইসলাম মজুমদার।

ড. মিজানুর রহমান আজহারি মঞ্চে এসে উপস্থিত হলে আয়োজক কমিটি আল ইসলাম ট্রাস্ট, বিএনপি এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। মাহফিলের দুই লাখ বর্গফুটের প্যান্ডেল ছাড়াও ১৬ একর সার্কিট হাউস মাঠ উপচে মানুষের ঢল নামে আশপাশের পার্ক ও সড়কগুলোতে।

এ ছাড়া জিলা স্কুল মাঠ, গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠসহ উমেদ আলী মাঠেও মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ে। জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে কয়েক হাজার নারীর উপস্থিতি ছিল। মাঠসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ২২টি এলইডি পর্দার ব্যবস্থা করা হয়। তিনটি মেডিক্যাল ক্যাম্প, চার শতাধিক অজুখানা ও ওয়াশরুম এবং পর্যাপ্ত খাবার পানির ব্যবস্থাও ছিল। গোটা নগরীর ছিল অনেকটাই ফাঁকা। যেন মানুষের ঢল নেমেছিল মাহফিল এলাকায়। প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ বিজিবি, বিপুলসংখ্যক র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার ভিডিপির সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।

মার্চেও মিলছে না আইএমএফের চতুর্থ কিস্তির অর্থ

মাহফিলকে কেন্দ্র করে ১০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়েছে বলে অনেকেরই ধারণা। সকাল ৮টায় মাহফিল শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় ড. আজহারির বক্তব্য ও দোয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। শুক্রবার রাত থেকেই মাহফিলস্থলে জনতার ঢল নামে। সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সার্কিট হাউস মাঠ।