আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি জার্মানিতে মার্কিন দুই নারীর ওপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
হামলায় একজন নিহত হন। জার্মানির অন্যতম পর্যটন গন্তব্য বাভারিয়া রাজ্যের নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গের কাছে গত বছরের ১৪ জুন এই ঘটনা ঘটেছিল৷ জার্মানির কেম্পটেন শহরের আদালতে সোমবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ প্রথমেই অপরাধ স্বীকার করে নেন ঐ ব্যক্তি৷
তার আইনজীবী বলেন, নিজের অপকর্মের জন্য তার মক্কেল খুবই লজ্জিত এবং তিনি নিহতের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷ মার্চের মাঝামাঝি রায় দেওয়া হতে পারে৷
যা ঘটেছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর মার্কিন ঐ দুই তরুণী নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গের কাছে হাইকিংয়ে বের হয়েছিলেন৷ তাদের একজনের বয়স ২১, অন্যজনের ২২৷ পথিমধ্যে ৩১ বছর বয়সী মার্কিন ঐ নাগরিকের সঙ্গে তাদের দেখা হয়৷ তখন মার্কিন ঐ ব্যক্তি তাদের দুজনকে পাশেই একটি সুন্দর দেখার জায়গা আছে বলে সেখানে নিয়ে যান৷ এরপর ২১ বছর বয়সী মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে তার পোশাক খোলার চেষ্টা করেন৷ তাকে বাধা দিতে গেলে ২২ বছর বয়সী মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় ৫০ মিটার গভীর খাদে ফেলে দেন মার্কিন ঐ নাগরিক৷
এরপর ২১ বছর বয়সী মেয়েটি অবচেতন না হওয়া পর্যন্ত তার গলা চেপে ধরা হয় এবং পরে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছেন৷ ধর্ষণ করার পর এই মেয়েটিকেও খাদে ফেলে দেয়া হয়৷ এরপর ২২ বছর বয়সী মেয়েটি আহত অবস্থায় উপরে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন৷ আর ২১ বছর বয়সী মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ সেখানেই তিনি মারা যান৷ মার্কিন ঐ নাগরিকের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণের কারণে হত্যা, হত্যা চেষ্টা, শরীরে মারাত্মক আঘাত ও নিজের কাছে শিশু পর্নোগ্রাফির বিভিন্ন ফাইল রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।