বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়েই দুই চাকার বাহনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে যাতায়াতের সহজ উপায় হিসেবে স্কুটার ও মোটরসাইকেল উভয়ই বেশ প্রচলিত। তবে অনেকেই জানতে চান স্কুটার না মোটরসাইকেল, কোনটির ইঞ্জিন বেশি শক্তিশালী?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের আগে ইঞ্জিন ক্ষমতা, ব্যবহার, গঠন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিতে হবে।
ইঞ্জিনের ক্ষমতা ও পারফরম্যান্স:
স্কুটার এবং মোটরসাইকেলের মূল পার্থক্যই দেখা যায় ইঞ্জিনে।
মোটরসাইকেল:
মোটরসাইকেলে সাধারণত ১০০ সিসি থেকে শুরু করে ১০০০ সিসি বা তারও বেশি ক্ষমতার ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।
হাই স্পিড, অফ-রোড বা দীর্ঘপথে চালনার জন্য উপযোগী।
উদাহরণস্বরূপ, Yamaha R15 (১৫৫ সিসি), Bajaj Pulsar (১৫০-২২০ সিসি), কেটিএম ডিউক (২০০-৩৯০ সিসি) ইত্যাদি।
ইঞ্জিন পাওয়ার বেশি হওয়ায় এতে টর্ক ও গতিও বেশি থাকে।
স্কুটার:
স্কুটারের ইঞ্জিন সাধারণত ১০০ থেকে ১৫০ সিসি হয়। খুব কম মডেলে ২০০ সিসি পর্যন্ত দেখা যায়।
শহরের ছোট রাস্তায় স্বাচ্ছন্দ্যে চালানোর জন্য উপযুক্ত।
উদাহরণ: হোন্ডা ডিও (১১০ সিসি), ইয়ামাহা রে জেডআর (১২৫ সিসি), টিভিএস এন টর্ক (১২৫ সিসি) ইত্যাদি।
স্কুটার স্বয়ংক্রিয় গিয়ার (সিভিটি) ব্যবস্থায় চলে, তাই স্পোর্টস পারফরম্যান্সে সীমিত।
গঠন ও কাঠামো:
মোটরসাইকেল: ভারী ও শক্ত কাঠামো, ম্যানুয়াল গিয়ার, ক্লাচ, এবং শক্তিশালী সাসপেনশন।
স্কুটার: হালকা ফ্রেম, অটো গিয়ার, ক্লাচ ছাড়া, কম গতির জন্য তৈরি।
কোনটির ইঞ্জিন শক্তিশালী?
পরিষ্কারভাবে বলা যায়— মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন স্কুটারের তুলনায় বেশি শক্তিশালী।
এর মূল কারণ:
ইঞ্জিন সিসি (সিসি) বেশি
হাই টর্ক ও হর্সপাওয়ার
দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স
ভারি লোড ও দূরপাল্লার রাইডিং উপযোগী
তবে স্কুটারের সুবিধা কী?
ইঞ্জিন কম শক্তিশালী হলেও স্কুটারের কিছু আলাদা সুবিধা রয়েছে—
-শহরে ট্রাফিকের ভিড়ে সহজে চালানো যায়
-হালকা ওজন, সবার জন্য সহজলভ্য
–নারী চালকদের জন্য বেশ আরামদায়ক
-পা রাখার জায়গা ও অতিরিক্ত স্টোরেজ
যদি আপনি ইঞ্জিন শক্তি, গতি ও দূরপাল্লার রাইডের দিক থেকে বিচার করেন, তবে মোটরসাইকেল স্পষ্টভাবে স্কুটারের চেয়ে এগিয়ে। তবে শহুরে হালকা চালনা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং কম অভিজ্ঞ চালকদের জন্য স্কুটারই বেশি উপযুক্ত। অর্থাৎ আপনার প্রয়োজন অনুসারেই নির্বাচন হওয়া উচিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।