পর্তুগাল আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্তেনেগ্রোর দপ্তর।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি পর্তুগাল বিবেচনা করছে। এই প্রক্রিয়া ৮০তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চপর্যায়ের সপ্তাহে সম্পন্ন হতে পারে, যা আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে।
‘বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে একাধিক যোগাযোগের পর’ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্তুগাল সরকার। সেখানে ‘মানবিক সংকটের ভয়াবহ অবনতি এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখলের আশঙ্কার প্রতি বারবার ইঙ্গিত’ গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য হয়ে উঠেছে।
এর আগে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, যদিও কিছু দেশ শর্তসাপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে।
সম্প্রতি গাজার দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি এবং শিশুদের মারাত্মক অপুষ্টি নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়তে থাকায় এই বিষয়টি আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি আন্তর্জাতিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় ‘সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি’ চলছে।
সেক্ষেত্রে পর্তুগালও হয়তো সেপ্টেম্বরেই ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতিদানকারী রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় যোগ দেবে।
গত সপ্তাহে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন, তার দেশ আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবে, যাতে আন্তর্জাতিকভাবে একটি সমন্বিত উদ্যোগ তৈরি হয়।
পর্তুগিজ প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুজা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘সতর্ক চিন্তা-ভাবনার ফসল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এটি ইউরোপীয় ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পর্তুগাল ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের এই কূটনৈতিক অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিকে নতুন গতি দিতে পারে।
সূত্র: আল-অ্যারাবিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।