বিনোদন ডেস্ক : জয়া আহসান। প্রতিনিয়তই নিজেকে ভাঙছেন আর নতুন করে গড়ছেন। তার অভিনয়ে মুগ্ধ দুই বাংলার অগণিত ভক্ত-অনুরাগীরা। বয়সকে কোনো দিনই তোয়াক্কা করেননি জয়া। দর্শক-ভক্তদের মতে, তিনি এখনো সজীব-প্রাণবন্ত। তার জীবনের যতটুকু সাফল্য এসেছে সেটার পেছনে বড় অবদান তার মায়ের- এক সাক্ষাৎকারে জয়া এমনটাই জানিয়েছিলেন। মায়ের সঙ্গে জয়ার সম্পর্কটাও বন্ধুত্বের মত। আজকের এই আয়োজনে থাকছে মায়ের সঙ্গে জয়া আহসানের ১০টি ছবি…
জয়া আহসান জন্মগ্রহণ করেন গোপালগঞ্জ জেলায়। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তাঁরা দুই বোন এক ভাই।
২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জয়ার চলচ্চিত্রে অভিষেক।
‘গেরিলা’ ছবিতে বিলকিস বানু চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ জুরিদের বিচারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, একই বছর প্রদত্ত মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এ সমালোচকদের বিচারে শ্রেষ্ঠ নারী চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী,ও ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।
‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পর থেকে তিনি নিয়মিত বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতার চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু করেন।
জয়া আহসান ২০১৩ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে নিমন্ত্রণ পান। এই বছর তিনি অরিন্দম শীল পরিচালিত আবর্ত দিয়ে কলকাতায় অভিনয় শুরু করেন।
এর মধ্যেই দুই বাংলায় সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন জয়া আহসান।
সর্বশেষ বাংলাদেশের মুক্তি পেয়েছে ‘পেয়ারার সুবাস’ এবং কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ‘ভূতপুরী’ সিনেমা।
এছাড়া বলিউড সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন জয়া। গেলো বছর ‘কড়ক সিং’ নামের এই সিনেমায় জয়ার বিপরীতে ছিলেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠি।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে জয়া ছিলেন মডেল ও অভিনেতা ফয়সাল আহসানের সহধর্মিনী। ১৪ মে ১৯৯৮ সালে বিয়ে করেন। ২০১১ সালে ফয়সালের সাথে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
‘এনেছি সূর্যের হাসি’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের পর জয়া জাতিসংঘের নারী ও শিশু সহায়তা বিভাগের শুভেচ্ছা দূত হন।
এক সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, ছোট্ট এই জীবনে তার যত অর্জন তা নাকি সম্ভব হয়েছে তার মায়ের জন্যই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।