ধর্ম ডেস্ক : সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় খাওয়া দাওয়া না করলেই কেবল রোজা হয় না। রোজা আদায় হওয়ার আরো বেশ কিছু কর্তব্য ও বিধিনিষেধ রয়েছে।
নবী করীম (সাঃ) বলেছেন-
”কত রোজাদার আছে, যাদের রোজার বিনিময়ে ক্ষুধা ছাড়া আর কিছুই জোটে না। কত নামাজ আদায়কারী আছে, যাদের রাত (জেগে নামাজ) জাগরণ ছাড়া আর কিছুই জোটে না।” (ইবনে মাজাহ)
রোজা শুধুমাত্র পেটের হয়না, রোজা হয় সমস্ত শরীরের। খাদ্য থেকে সংযম নয়, বরং সকল প্রকার পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখাই রোজার উদ্দেশ্য।
রোজা সমস্ত শরীরের ইবাদত। হাতের রোজা হলো, রোজা অবস্থায় এবং সারা জীবনে হাত দিয়ে কোনো পাপ না করা, কাউকে আঘাত না করা, কারো ক্ষতি না করা। চোখের রোজা হলো রোজা অবস্থায় ও সারা জীবনে খারাপ কিছু না দেখা। মুখের রোজা হলো রোজা অবস্থায় এবং সারা জীবনে খারাপ কথা, অন্যায় কথা না বলা। মনের রোজা হলো রোজা অবস্থায় ও সারা জীবনে খারাপ চিন্তা না করা, কারো ক্ষতি করার চিন্তা না করা, কারো প্রতি হিংসা না রাখা। এভাবে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোজা যদি আপনি পালন করতে পারেন, তাহলেই কেবল আপনার রোজা আদায় স্বার্থক হবে।
’সিয়াম’ শব্দের অর্থ হলো বিরত থাকা, দূরে থাকা। আল্লাহ তা’আলা রোজা থাকা আবস্থায় পানাহার ও যৌনতা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। একজন মুসলিমকে যা খুশি তা বলা, যা খুশি তা করা থেকে বিরত রাখাই হলো সিয়াম বা রোজার শিক্ষা। সুযোগ থাকতেও পাপ কাজ না করা, এর নাম তাকওয়া।
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন-”হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর সিয়াম ফরয করা হয়েছে, যেভাবে ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর।” (আল-বায়ান)
এই তাকওয়ার শিক্ষা দেয় সিয়াম। অর্থাৎ, রোজা পালনের মাধ্যমে হারামকে না বলার মানসিকতা অর্জন করতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।