লাইফস্টাইল ডেস্ক : সুখী দাম্পত্য জীবনের বৈশিষ্ট হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হলেও কিছু বিষয় আছে, যা সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করলে তা সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় আছে যা তার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি সম্পর্কে-
১. আত্মীয়দের গোপন সমস্যা: বাড়ির আত্মীয়দের কোনো গোপন সমস্যা, যা তাদের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা উচিত নয়।
২. আগের সম্পর্কের কথা: অতীতের প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করলে তা থেকে অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।
৩. বন্ধু বা সহকর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য: অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় আপনার স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনারও সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
৪. অফিসের গোপন তথ্য: আপনার কাজের গোপন কৌশল বা তথ্য শেয়ার করলে তা পেশাগতভাবে সমস্যার কারণ হতে পারে।
৫. অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা: স্ত্রীর পরিবারের, বন্ধুবান্ধবের বা পছন্দের কোনো বিষয়ের অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।
৬. আর্থিক সমস্যা বা ঋণের অবস্থা: আপনার আর্থিক সমস্যা বা ঋণ সম্পর্কিত জটিলতা তাকে অযথা মানসিক চাপ দিতে পারে। তবে কোনো বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গীকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।
৭. অন্য নারীর প্রশংসা: কোনো নারী সহকর্মী বা বন্ধুর অতিরিক্ত প্রশংসা করলে তা ঈর্ষা বা অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।
৮. তার শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা: তার কোনো শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতার কথা সামনে তুলে আনলে তা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।
৯. তার পেশাগত দক্ষতার বিষয়: তার ক্যারিয়ার বা পেশাগত দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা সম্পর্কের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
১০. গোপন পরিকল্পনা: আপনার গোপন সঞ্চয় বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, যা তাকে জানানো হলে ভুল–বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে।
১১. অতীতের গোপন ক্ষোভ: কোনো পুরনো ক্ষোভ বা কষ্ট স্ত্রীর কাছে বলা সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।