একটা সময় টালিউডের জুটি মানেই ভাবা হতো দেব-শুভশ্রীর কথা। ভক্তের হৃদয়ে এখনও তারা রয়ে গেছেন তার প্রমাণ পাওয়া গেল ১০ বছর পর। তবে শুভশ্রী জীবন থেকে হারিয়েছেন চার চারটি বছর। এক সাক্ষাৎকারে তেমনটিই বলেছিলেন অভিনেত্রী।
ক্যারিয়ারের শুরুতে তাদের প্রেম হয়। এই জুটি মিলে সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তবে দীর্ঘ সম্পর্কের পর তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ভেঙে পড়েন দুজনই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শুভশ্রী অকপটে কথা বলেছেন সংবাদ মাধ্যমে।
এত বছর পর সেই সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করলেন শুভশ্রী। জানালেন, বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
জি বাংলার এক পুরোনো রিয়েলিটি শো ‘হ্যাপি প্যারেন্টস ডে’-তে অতিথি হয়ে এসে শুভশ্রী নিজের জীবনের সেই কঠিন সময়ের কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি খুব ছোট বয়সে জীবনের খারাপ সময়টা দেখেছি। একটা সময় কাজ থেকেও আমার মন উঠে গিয়েছিল। নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ ছেড়ে দিই। “পরাণ যায় জ্বলিয়া রে…” ছবির পর কাজ করাই বন্ধ করে দিই।’
তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার পর যেই সম্পর্কের জন্য সব কিছু ত্যাগ করেছিলেন, সেটাই টিকল না। আর তখনই বুঝেছিলেন জীবনের অনিশ্চয়তা।
শুভশ্রী বলেন, ‘সেই সময় আমি আমার চারটি বছর নষ্ট করেছি। মনের কষ্ট বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারিনি। বাইরে থেকে হাসিখুশি থাকলেও, পাঁচ মিনিট অন্তর বাথরুমে গিয়ে কেঁদে ফিরতাম।’
তবে জীবনের সেই কঠিন সময়ও নায়িকাকে ভেঙে দিতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘যখন আমার আর কিছু হারানোর ছিল না, তখনই বলেছিলাম—যা পাব সেটাই আমার প্রাপ্তি হবে। তারপর থেকেই ঈশ্বরের আশীর্বাদে জীবনে সাফল্য আসতে শুরু করে।’
ভালোবাসা নিয়ে তার বিশ্বাস আজও অটুট। শুভশ্রীর ভাষায়, ‘আমি ভালোবাসাকে কখনও অস্বীকার করিনি। খারাপ অভিজ্ঞতা হলেও ভালোবাসা খুব সুন্দর একটা অনুভূতি। পৃথিবীর সব মানুষই ভালোবাসার খোঁজে আসে। পেশা, টাকা—সব কিছু পরে আসে। ভালোবাসা থাকলে সবটাই সহজ হয়ে যায়।’
সম্পর্ক ভাঙার মুহূর্তে দেব-শুভশ্রী ২০১৫ সালে সর্বশেষ অভিনয় করছিলেন ‘ধূমকেতু’ সিনেমায়। কাজ ২০১৩ সালে শুরু হয়। দুই বছর সিনেমার শুটিং চলে। কিন্তু শেষে একাধিক কারণে ছবিটি মুক্তির পথে হাঁটতে পারেনি। অবশেষে দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রেক্ষাগৃহে ‘ধূমকেতু’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৪ আগস্ট।
বর্তমানে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছেন শুভশ্রী। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখন তার ঘর ভরা আনন্দ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।