বিনোদন ডেস্ক : পপ গায়িকা হিসেবেই ক্যারিয়ার শুরু। এরপর পপ, ব্লুজ থেকে শুরু করে নানা জনরার গানে নিজেকে প্রমাণ করেছেন জেফার রহমান। চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’সহ বেশকিছু প্রোডাকশনেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে হঠাৎ করেই যাত্রা শুরু করেছেন অভিনয়ে। এরইমধ্যে শুটিংও শেষ করেছেন ‘মনোগামী’ নামের একটি সিনেমার। মূলত গানের কাজে গিয়েই নির্মাতা মোস্তফা সওয়ার ফারুকীর সঙ্গে দেখা এবং কথা হয় তার। সেখানেই সিনেমাটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি। যদিও অভিনয়ে আসার বিষয়টি নিয়ে বেশ আগ্রহও ছিল জেফারের।
বদলে যাওয়া চরিত্র!
‘মনোগামী’ সিনেমায় লামিয়া নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যে চরিত্রটি তার লুক থেকে শুরু করে জীবনধারা বদলে দিয়েছে। কোঁকড়ানো-ঝাঁকড়া চুলে, পাশ্চাত্যের পোশাকে এক উচ্ছল তরুণীর প্রতিশব্দ ছিলেন জেফার। লামিয়া চরিত্রে খোলা চুলে, শাড়িতে বাঙালি বেশভূষায় পাওয়া যাবে তাকে। এমনকি সিনেমার দৃশ্য ধারণ শেষ হলেও সেই বেশভূষাকে ব্যক্তিগত জীবনেও ধারণ করেছেন তিনি।
যে কারণে অভিনয়ে…
ব্যক্তিজীবনে বরাবরই নিজেকে ক্রিয়েটিভ মানুষ মনে করেন জেফার। সব মাধ্যমেই কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। মনোগামীর মতো ন’ ডড়াই সিনেমাতেও হঠাৎ করে যুক্ত হয়ে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। তাছাড়া ফারুকীর নির্দেশনা এবং চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় যাত্রা শুরু ক্যারিয়ারের জন্য ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছেন তিনি।
সহকর্মী যখন চঞ্চল-ফারুকী
অভিনয়ের শুরুতে চঞ্চল চৌধুরী-মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে কাজ করা নিয়ে বেশ নার্ভাস ছিলেন জেফার। তবে তারা শুরুতেই সেই শঙ্কা দূর করে দেন। এমনকি চঞ্চল-ফারুকীর আচার-আচরণ আর সহযোগিতায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তিনি ।
নির্মাতার প্রশংসায়…
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সিনেমায় অভিনয় করলেও শুরুতেই দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন নির্মাতা ফারুকীর। লামিয়া চরিত্রের সাথে খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং প্রাণবন্ত অভিনয় নজর কেড়েছে ফারুকীর। নানা মাধ্যমে সে কথা একাধিকবার প্রকাশও করেছেন নির্মাতা ফারুকী।
অভিনয় ভাবনা
জেফারের মনে করেন, সৃজনশীলতা প্রকাশে কোনো মাধ্যম বিবেচ্য নয়। সুযোগ পেলে যেকোনো স্থানে, যেকোনো মাধ্যমে নিজেকে মেলে ধরা যায়। সেই জায়গা থেকে আবারও ভালো ইউনিট, সহশিল্পী, গল্প-চরিত্র পেলে ক্যামেরার সামনে আসবেন। আপাতত অভিনয়কে শখের জায়গায় রেখে গানে মনোযোগী হতে চান তিনি।
অভিনয়ের বাইরে
সিনেমার দৃশ্য ধারণ শেষে আবারও পুরনো নীড়ে ফিরেছেন জেফার। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি গানের কাজ শুরু করেছেন। বছরের শেষ ভাগে একটি গানের ভিডিও চিত্র নিয়ে আসবেন তিনি। শুধু গান নয়, প্রতিটি মাধ্যমেই নিজের সৃজনশীলতা ছাপ রাখতে চান এই গায়িকা-অভিনেত্রী। তার প্রমাণও বিভিন্ন সময় দিয়েছেন তিনি। নিয়মিতই মৌলিক গান, স্টেজ শোয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র-ওয়েব সিরিজের গান করছেন তিনি। এর বাইরেও একইসঙ্গে রেম্পে হেঁটেও নজর কাড়েন ভক্ত-দর্শকদের। এছাড়াও একাধিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডর ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছেন জেফার।
সব কিছুতেই ‘হঠাৎ’!
ক্যারিয়ারের শুরুতে বেশকিছু বাংলা এবং ইংরেজি গান কাভার করেন জেফার। যেগুলো তাকে বেশ জনপ্রিয় করে তোলে শ্রোতা-দর্শকদের কাছে। পাশাপাশি নিজের প্রথম মৌলিক একককে দুটি বাংলা এবং ৭টি ইংরেজি গান রাখেন তিনি। এরপর নিয়মিত গানের সব শাখায় বিচরণ শুরু করেন। তবে এখানেও রয়েছে ‘হঠাৎ’ শব্দের দারুণ এক সম্পর্ক। পেশাদার শিল্পিদের মতো কখনও গানে হাতেখড়ি হয়নি তার। গানের সাধারণ এক শ্রোতা ছিলেন তিনি। একদিন অবচেতন মনে একটি গান গেয়ে মোবাইলে রেকর্ড করে বন্ধুদের শোনান তিনি। তারা প্রশংসার পাশাপাশি গানে উত্সাহ দেন। তখন থেকেই নিজেকে গায়িকা ভাবতে শুরু করেন জেফার। ধীরে ধীরে গানের জগতে যুক্ত হয়ে পড়েন। যা পরবর্তীতে মূল পেশায় রূপান্তর হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।