জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার ও তার আত্মীয়-স্বজনরা মিলে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ব্যাংকের টাকা লোপাট করেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে। দেশের আপামর জনগণের জনপ্রিয় ইসলামী ব্যাংক ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা। ডাকাত এস আলমকে লেলিয়ে দিয়ে পরিবার মিলে টাকা লোপাট করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে নিজ দলের ঠিকাদার নিয়োগ করে আত্মীয়-স্বজনরা মিলে দেশটাকে পোঁটলা করেছে হাসিনার পরিবার।’
তিনি বলেন, ‘যেখানেই মেগা প্রকল্পের কথা হয়েছে, সেখানেই মেগা দুর্নীতি হয়েছে। স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যারা এদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাকে নিজেদের বাপ-দাদার তালুক মনে করতেন। তারা চেতনার কথা বলতেন। চেতনার কথা বলে বলে এই জাতিকে তারা লুণ্ঠন করেছেন, গণহত্যা চালিয়েছেন, তাদের সন্তানেরা আকাম-কুকাম করে ধর্ষণের সেঞ্চুরী পালন করেছে। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে তারা বিদেশে পাচার করেছে।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর পিওনের একাউন্টে ছিল সাড়ে চারশো কোটি টাকা। পিওনের যদি এত টাকা হয় মালিকের কত টাকা। হ্যাঁ, মালিকের টাকাও বের হয়ে আসতেছে। আপনাদের একেবারেই নিকটে রুপপুর পারমানবিক কেন্দ্র। এখান থেকে মালিকের পরিবার শুধু একটা প্রকল্প থেকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে। এইভাবে যেখানেই মেগা উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে, সেখানেই মেগা ডাকাতি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একটা পদ্মা ব্রিজ তৈরি করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তাই দিয়ে কমপক্ষে চারটা পদ্মা ব্রিজ তৈরি করা যেত। তাহলে বাকি তিনটা গেল কোথায়? হিসাব একেবারেই পরিস্কার। দেশের টাকা দিয়ে যারা বিদেশে বেগম পাড়া গঠন করেছেন তারাই এই টাকা চুরি করেছে। কিন্তু চোরের মা’র বড় গলা।’
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘এ রক্তের আমানত রক্ষা করতে হবে। সম্মান দেখাতে হবে। তাই আমাদের সন্তানদের স্লোগান ছিল মাত্র একটা উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমরা সর্বক্ষেত্রে ন্যায় বিচার চাই। আমরা বৈষম্য চাই না। আমরা আমাদের গর্বের সন্তানদের কথা দিচ্ছি তোমরা যেমন জীবন দিয়ে জাতিকে আরেকবার স্বাধীনতা এনে দিয়েছো। আমরা প্রয়োজনে জীবন দিয়ে তোমাদের দাবি পূরণ করব ইনশাল্লাহ।’
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল সুজা উদ্দিন জোয়াদ্দরের সঞ্চালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মো. মোবারক হোসেন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।