আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যেকোনো আক্রমণের মুখে তারা ‘কঠোর ও ধ্বংসাত্মক’ প্রতিক্রিয়া দেখাবে। ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামরিক অভিযানের পর তার এই সতর্কবার্তা আসলো।
শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইয়েমেনের হুথিদের হুমকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ‘সিদ্ধান্তমূলক ও শক্তিশালী’ সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি ইরানকে হুথিদের প্রতি সমর্থন বন্ধের আহ্বান জানান। হুথি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি বলেন, ইরান যুদ্ধ চায় না, তবে কেউ হুমকি দিলে উপযুক্ত, কঠোর ও সুস্পষ্ট জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, হুথিরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজেদের কৌশলগত ও সামরিক সিদ্ধান্ত নেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইরান হুথিদের অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাকায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘নির্মম’ উল্লেখ করে জাতিসংঘ সনদের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের কোনো অধিকার নেই। তারা ইয়েমেনের জনগণের ওপর হামলা বন্ধ করুক।’
‘অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ হোন্ডা, থাকছে না বয়সসীমা
মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়ার আশঙ্কা
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা ও ইরানের পাল্টা হুঁশিয়ারির ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। তারা বলছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে নতুন মোড় এসেছে। তবে এই সামরিক উত্তেজনার পরিণতি কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।