লাইফস্টাইল ডেস্ক : একঢাল সুন্দর চুলের স্বপ্ন দেখেন ঠিকই, কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণের রাস্তা অজানা? তা হলে বরং পাঁচ কৌশল অনুসরণ করে দেখুন। চুল ঝরা হোক বা ডগা ফাটা কিংবা চুল উঠে মাথা ফাঁকা হতে শুরু করা, সব সমস্যার সমাধানই হতে পারে এতে। ত্বকের রোগের চিকিৎসক দেবীন্দর মোহন মহাজন এক সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন, জিনগত কারণে, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব হলে, মানসিক চাপে, কখনও আবার বিশেষ কোনও অসুখের কারণে চুল ঝরার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল কেশের জন্য নিয়মিত পরিচর্যাও জরুরি। কী ভাবে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন?
তেল মাসাজ: মাথার ত্বকে তেল মাসাজ করলে চুলের ফলিকল মজবুত হয়, পুষ্টি পায় চুল। অক্সিজেন সরবরাহ ভাল হয়। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য এগুলি খুব জরুরি। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, মাথার ত্বকে মাসাজ করলে মানসিক চাপ কমে, স্নায়ু বিশ্রাম পায়। মানসিক চাপও কিন্তু চুল ঝরার কারণ হয় অনেক সময়।
চুল আঁচড়ানো: চুলের জট ছাড়াতে বা শুধু কেশসজ্জার জন্য নয়, চুল আঁচড়ানো স্বাস্থ্যোজ্জ্বল কেশের জন্যও জরুরি। মাথার ত্বকে থাকে সিবেসিয়াস গ্রন্থি। তা থেকে নিঃসৃত সিবাম চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এই তেলের জন্য চুল মসৃণ থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ, দিনে অন্তত ১০০ বার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো। এতে সিবেসিয়াস গ্রন্থি নিঃসৃত তেল মাথার ত্বকে সমান ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘন ঘন শ্যাম্পু: চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু করলেই চুলের উপকার হয় না। এতে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যেতে পারে। চুল রুক্ষ হয়ে যায়। সে কারণে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিয়ে প্রতি দিন বা দু’দিন অন্তর শ্যাম্পু করা ঠিক নয়।
চুলের ক্ষতি হয় কিসে? কেশসজ্জার জন্য চুল মসৃণ করার যন্ত্র, কোঁকড়ানোর যন্ত্রের ব্যবহার হয় প্রায়ই। অনেককে পেশাগত কারণে নিয়মিত এই ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়।
তবে চিকিৎসক জানাচ্ছেন, এই ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হয়। তাপ দিয়ে চুল সোজা বা কোঁকড়ানোর পদ্ধতিতে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলা উচিত।
ভিটামিন এবং খনিজ: চুল ঝরার কারণ হতে পারে ভিটামিন এবং খনিজের অভাব। চুলের যাতে পুষ্টির অভাব না হয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন, খনিজের সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। খাদ্যতালিকায় মাছ, ডিম, শাকসব্জি থাকলেও সেই চাহিদা পূরণ হতে পারে।
শ্যাম্পু-কন্ডিশনার: সাধারণ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার চুলের সমস্যার সমাধান না-ও করতে পারে। চুলের বিশেষ সমস্যার জন্য বিশেষ সমাধানের দরকার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।