লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরম ভাতের সঙ্গে খাঁটি ঘিয়ের স্বাদ অতুলনীয়। ঘি কিন্তু ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের যত্নেও, বিশেষ করে শীতকালে। ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যে পূর্ণ ঘি শীতের মৌসুমে ডিহাইড্রেটেড কোষগুলোকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। জেনে নিন শীতে ঘি ব্যবহারের আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
ত্বককে হাইড্রেট করে এবং পুষ্টি জোগায়
ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ ঘি ত্বকের কোষকে নমনীয় করে। তবে যদি আপনার তৈলাক্ত ত্বক হয় তবে সপ্তাহে একবারের বেশি ঘি ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
অকাল বার্ধক্য প্রক্রিয়া রোধ করে
বার্ধক্যজনিত ছাপ প্রতিরোধ করে ঘি। প্রতিদিন প্রয়োগ করা হলে এটি তারুণ্যদীপ্ত করে ত্বককে। ত্বক সুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত রুক্ষ হয়ে যায় ও বলিরেখা পড়তে শুরু করে। এই প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা পেতে শীতে নিয়মিত ঘি ব্যবহার করুন ত্বকে।
ত্বককে প্রশমিত করে
ত্বকের প্রদাহ, শুষ্কতা কমায় ঘি। ত্বককে প্রশমিত করে ঘি, পাশাপাশি কমিয়ে দেবে ফুসকুড়ির লক্ষণও কমিয়ে দেবে।
নরম ঠোঁট
ফাটা ঠোঁট শীতের একটি সাধারণ বিড়ম্বনার নাম। শীতের সময় ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে চাইলে নিয়মিত ঘি লাগান। হাইড্রেশন প্রদান করার পাশাপাশি পিগমেন্টেশনও প্রতিরোধ করে ঘি।
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে
ঘি চোখের নিচের কালো দাগ কমায় ঘি। আঙুলে সামান্য ঘি নিয়ে চোখের নিচের ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
ঘি যেভাবে ব্যবহার করবেন ত্বকের যত্নে
অল্প পরিমাণে ঘি নিন এবং ত্বকে লাগান সরাসরি। ক্রিমের মতো আস্তে আস্তে লাগাবেন। ময়েশ্চারাইজারের মতো ম্যাসাজ করুন নিয়মিত।
ফাটা ঠোঁট থেকে মুক্তি পেতে রাতে ঘুমানোর আগে ঘি লাগান। পরের দিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।
ফেস মাস্কের মতো ব্যবহার করতে পারেন ঘি। ২ টেবিল চামচ বেসন এবং ২ টেবিল চামচ হলুদের সাথে ঘি মিশিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য ত্বকে লাগিয়ে রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।