লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঈদে সারাদিন কাজ করে দ্রুত রান্না করে সবাই খেতে চায়। কিন্তু স্বাভাবিক রান্নায় তা হয়ে উঠে না। তবে বিশেষ কিছু কৌশল জানা থাকলে সহজে মাংস রান্না করা যেতে পারে। গরুর মাংস দ্রুত রান্না করার সবচেয়ে বড় কৌশল হচ্ছে মাংস সেদ্ধ করা। মাংস সেদ্ধ করার কৌশল জানা থাকলে ঈদে মাংস রান্না করা যাবে নির্বিঘ্নে। হাতের কাছে প্রেসার কুকার থাকলে যদিও ঝটপট মাংস রান্না করে ফেলা যায়। কিন্তু যদি প্রেসার কুকার না থাকে, তবে কিছু সহজ কৌশল মেনে রান্না করতে পারেন মাংস। জেনে নিন মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাবে কোন কোন উপায় মানলে।
১. একটি কাঁচা পেঁপে খোসাসহ টুকরা করে নিন। পেঁপের টুকরা ব্লেন্ডারে দিন। আধা চা চামচ লবণ, সামান্য পানি ও ১ টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। পেঁপেতে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা মাংসের কোষ নরম করতে সাহায্য করে। চাইলে এই পেস্ট সংরক্ষণও করতে পারেন। বরফ জমানোর ট্রেতে কিংবা মুখ বন্ধ বাটিতে করে পেস্টটি ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।
বরফ জমানোর ট্রেতে সংরক্ষণ করতে চাইলে পাতলা পলিথিন দিয়ে ট্রে মুড়ে নেবেন ফ্রিজে রাখার আগে। ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে কাঁচা পেঁপের পেস্ট। ১ কেজি মাংসে ৩ টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপের পেস্ট মেখে ১ ঘণ্টা রেখে দিলেও দ্রুত সেদ্ধ হবে মাংস।
২. সঠিক উপাদান দিয়ে ম্যারিনেট করলে মাংস নরম হবে, যা রান্নার সময়কে আরও কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে। লেবু, ভিনেগার এবং দইয়ের অম্লতা প্রাকৃতিকভাবে মাংসকে কোমল এবং আরও স্বাদযুক্ত করতে সহায়তা করে।
৩. ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে সঙ্গে সঙ্গে রান্না বসাবেন না। অন্তত আধঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর রান্না করুন।
৪. মাংস রান্না বসানোর আগে লবণ দিয়ে মেখে রাখুন কিছুক্ষণ।
৫. রান্নার আগের দিন বেকিং সোডা মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন মাংস। সময় কম থাকলে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা রাখলেও হবে। ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে পানি দিয়ে ধুয়ে এরপর রান্না করুন মাংস। তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যাবে।
৬. ফলের পিউরির সাহায্যে নরম করতে পারেন মাংস। আনারস, পেঁপে কিংবা কিউয়ি ফলের পিউরি ব্যবহার করতে পারেন। তবে আনারস খুব বেশি সময় মেখে রাখলে মাংস অতিরিক্ত নরম হয়ে যেতে পারে কিংবা মাংসের স্বাদ বদলে যেতে পারে। ফলের পিউরি মেখে একটি পাতলা প্লাস্টিকের সাহায্যে মুড়ে একদিনের জন্য ফ্রিজে রেখে দিন মাংস।
৭. মাংস রান্নার সময় সামান্য চিনি মেশালেও দ্রুত সেদ্ধ হয়ে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।