বিনোদন ডেস্ক : এ অভিনয় শিল্পী তার ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের অধ্যায়কে বর্ণনা করেছেন ‘কঠিন সময়’ হিসেবে। কারণ ওই সময়টায় তাকে নিয়মিত ‘মিডিয়ার কাঠগড়ায়’ দাঁড় করানো হত সন্তান নেই বলে।
এক সময় গর্ভধারণ করতে অনেক ধরনের চিকিৎসা করিয়েছিলেন হলিউড তারকা জেনিফার অ্যানিস্টন। এতদিন গোপন রাখলেও এবার খোলামেলাভাবে জানালেন ’কঠিন’ সেই সময়ের কথা।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালুর ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদে হাজির হয়েছেন জেনিফার অ্যানিস্টন। এ ম্যাগাজিনের সঙ্গে তার আলাপের চুম্বক অংশ নিয়ে শিরোনাম করেছে বিবিসি।
এ অভিনয় শিল্পী তার ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের ব্যক্তিগত অধ্যায়কে বর্ণনা করেছেন ‘কঠিন সময়’ হিসেবে। কারণ ওই সময়টায় তাকে নিয়মিত ‘মিডিয়ার কাঠগড়ায়’ দাঁড় করানো হত সন্তান নেই বলে।
”আর ওই সময়টায় আমি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টায় ছিলাম,” বলেন তিনি।
সেসব দিনের কথা মনে করে জেনিফার অ্যানিস্টন বলেন, ”তখন কেউ যদি আমাকে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখার বুদ্ধিটা দিত…।”
নারীর সন্তান ধারণের সক্ষমতা লম্বা সময়ের জন্য নিশ্চিত করতে ডিম্বাণু সংরক্ষণ বা এগ ফ্রিজিং করা হয়। হিমায়িত পদ্ধতিতে সংরক্ষণের জন্য স্বাস্থ্যকর ডিম্বাণু বেছে নেওয়া হয়।
বিবাহিত জীবনে মা হতে আইভিএফ পদ্ধতিতেও চেষ্টা করেছেন জেনিফার অ্যানিস্টন।
যৌন সংসর্গ ছাড়া শরীরের বাইরে ডিম্বাণুর নিষেক ক্রিয়ার পর জরায়ুতে তা স্থাপন করার কৃত্রিম নিষেক প্রক্রিয়াকে আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বলে।
এই নায়িকা বলেন, “মা হওয়ার ওই পথ আমার জন্য সত্যিই চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল। বছরের পর বছর ধরে জল্পনা চলছে … এসব কঠিন হয়ে উঠেছিল। আমি আইভিএফ পদ্ধতিতে এগোচ্ছিলাম। সে সময় চীনা চা খেতাম শুধু… ।”
এখন অবশ্য সেসব নিয়ে কোনো অনুতাপ কাজ করে না তার, অ্যালুর ম্যাগাজিনকে সেকথাও বলেছেন জেনিফার অ্যানিস্টন।
”কেউ যদি আমাকে বলত, ’ডিম্বাণু ফ্রিজ করো, নিজের প্রতি সুবিচার করো’, তার জন্য সবকিছু দিতে আটকাতো না আমার। তবে ওই তরী ভেসে গেছে।”
আমেরিকান টিভি সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’ এ অভিনয় করে খ্যাতি পাওয়া জেনিফার অ্যানিস্টন ২০০০ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে। ২০০৫ সালে সেই দাম্পত্যের ইতি টানেন দুজনে।
এরপর ২০১৫ সালে ৪৬ বছর বয়সে জেনিফার অ্যানিস্টন বিয়ে করেন জাস্টিন থেরুকে। ২০১৮ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা।
জেনিফার অ্যানিস্টনের ভাষ্যে, অভিনয় জগতে সন্তানহীনা নারীর প্রতি মিডিয়া ‘খুবই রূঢ়’ আচরণ করে।
”আমি স্বার্থপর ছিলাম এবং আমি নিজের ক্যারিয়ার নিয়েই মত্ত ছিলাম– এরকম সব রটনা হয়েছিল আমাকে নিয়ে।”
তিনি বলেন, ”একজন নারী সফল, অথচ তার সন্তান নেই– ঈশ্বর যেন এমন কারো না করেন।”
জেনিফার অ্যানিস্টন বলেন, “আমি বাচ্চা দিতে পারিনি বলে আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে গিয়েছিল, আমাদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল– এসব কথা একেবারেই মিথ্যা।”
আজকাল অ্যাপল টিভি প্লাসের দ্য মর্নিং শোতে দেখা যাচ্ছে এই অভিনেত্রীকে। ৫৩ বছর বয়সে এসে নিজেকে ’অনেকখানি ভারমুক্ত’ লাগে তার। এখন নিজেকে ’স্বাধীন’ ভাবেন।
কারণ এখন তাকে বারবার ভাবতে হয় না, ”আমি কি পারব? হয়তো, হয়তো, হয়তো।”
তিনি বলেন, “আমার আইভিএফ পদ্ধতি গ্রহণের কথা অনেক বছর গোপন রেখেছি। আমি এসব নিয়ে বেশ রক্ষণশীল।”
তবে এখন আর এসব কথা আড়ালে রাখতে চান না জেনিফার অ্যানিস্টন। তিনি বলেন, “এই পৃথিবী যে জল্পনা ছড়িয়েছে তা সত্য নয়। তাই আমি সেই সত্যিটা জানিয়ে দিতে চাই।
”আমার মনে হচ্ছে যেন শীতনিদ্রা কাটিয়ে উঠলাম। আমার আর কিছু গোপন করার নেই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।