যেসব তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বিড়ম্বনায় পড়ার শঙ্কা জাগায়

বিড়ম্বনায় পড়ার শঙ্কা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বর্তমানে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ছাড়া যেন এক মুহুর্ত চলেই না। আমরা অনেকেই জীবনের নানা ঘটনা এখানে শেয়ার করে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাই। তবে এটি ব্যবহারে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বনও জরুরি। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। আজকে জানাবো এমন কিছু তথ্য আছে, যেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করলে নানা বিড়ম্বনায় পড়ার বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই জেনে নিন নিরাপত্তার স্বার্থে কোন কোন বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উল্লেখ করা উচিত নয়।

বিড়ম্বনায় পড়ার শঙ্কা

১. নিজের বাড়ির ছবি প্রকাশ করলেও ঠিকানা বা বাড়ির নম্বর দিবেন না। বাড়ির চারপাশের রাস্তাঘাটের ছবিও না দেখানোই উত্তম।

২. সন্তানের নিরাপত্তার স্বার্থে সে কোন স্কুলে পড়ছে সেই তথ্য ভুলেও দেবেন না।

৩. স্কুলের ইউনিফর্ম পরা শিশুর ছবিও পোস্ট করবেন না।

৪. ঘুরতে গিয়ে লোকেশন ট্যাগ করে ছবি দেবেন না। অনেকে বিভিন্ন স্থানে লোকেশন ট্র্যাকারে ট্যাগ করে সে জায়গার ঠিকানাসহ বিস্তারিত বিবরণও দেন। এটি করলে বিপদে পড়তে পারেন।

৫. আপনি কোথায় যাবেন, কী করবেন এসব সংবেদনশীল তথ্য অনলাইনে না জানানোই ভালো।

৬. ইমেল আইডি সামাজিকমাধ্যমে শেয়ার করা উচিত নয়। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

৭. জরুরি ও ব্যক্তিগর নম্বর যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট নাম্বার শেয়ার করবেন না অনলাইনে। এগুলোর ছবি শেয়ার না করাই ভালো। তবুও করতে চাইলে নাম্বার ও তথ্য মুছে দিন।

হোয়াটসঅ্যাপে নম্বর লুকিয়ে চ্যাট করার উপায়

৮. বর্তমান বা আগের কর্মক্ষেত্র নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। কর্মক্ষেত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরক্তি বা অসন্তোষ প্রকাশ করা একেবারেই অপেশাদার আচরণ। কর্মক্ষেত্রের সমস্যা সেখানেই শেয়ার করুন এবং সমাধানের চেষ্টা করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে কথা বলা অপ্রয়োজনীয়। এ ছাড়া, অফিস কর্তৃপক্ষের নজরে পড়লে আপনাকে ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।

৯. ব্যাংকের তথ্য, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, অফিসের আইডি কার্ড, দলিল এগুলোর ছবি যেন ভুলেও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।