ধর্ম ডেস্ক : খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেদের কাছে একটি বিশেষ উৎসব গুড ফ্রাইডে। এখন্র বাঙালির কাছে একটা ছুটিরও দিন। কথিত আছে, শুক্রবারেই যীশু খ্রীষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু কখনো ভেবেছেন যীশু ক্রুশবিদ্ধ হলেন, তবুও এই দিনটিকে ‘গুড’ ফ্রাইডে বলে কেন? এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক…
কথিত আছে, এই দিনটিকে গুড বলা হয় অর্থাৎ দিনটিকে পবিত্র বোঝাতে। কিন্তু পবিত্র কেন? বলা হয়, যীশু তার আত্ম বলিদানের মধ্য দিয়ে আসলে এই মানব জাতিকে রক্ষা করলেন। তাই যীশুর আরেক নাম ‘রক্ষাকর্তা’। কেউ কেউ বলেন শব্দটি আসলে ‘গড’স ফ্রাইডে’ (ঈশ্বরের শুক্রবার)। এরপর গড’স ফ্রাইডে থেকে ‘গুড ফ্রাইডে’তে পরিবর্তিত হয়েছে।
কথিত আছে, গুড ফ্রাইডেতে যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র জেরুজালেমেই হয়েছিল। জানা যায়, যীশুর শিষ্য জুডাস তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল এবং ইহুদিরা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে ঝুলিয়ে দেয়। তাই এই দিনটিকে যীশুর বলি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
গুড ফ্রাইডে ক্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি শোকের উৎসব। তাই এই দিনে লোকেরা ঘণ্টাও বাজায় না। খ্রিস্টানরা গুড ফ্রাইডের আগে ৪০ দিন উপবাস করে। তাদের ধর্মমত অনুসারে, যীশু মানবসেবা শুরু করার আগে ৪০ দিন উপবাস করেছিলেন।
পানির দামে কিনুন ফাইভজি স্মার্টফোন, সাথে থাকছে দুর্দান্ত সব ফিচার
এই দিনটিতে যীশু তার পিঠে ক্রস নিয়ে কয়েক মাইল হেঁটে গিয়েছিলেন। পরে সেই ক্রসেই বিদ্ধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। এজন্য এই দিনটিকে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ও বলা হয়। এই দিনটি খ্রিস্ট ধর্মের লোকেরা খুবই শ্রদ্ধার সাথে পালন করে। আসলে এটি একটি শোকের দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।