ঝিনাইগাতিতে আখের বাম্পার ফলন, খুশি কৃষকরা

আখ

জুমবাংলা ডেস্ক : পাহাড়ি অঞ্চলে অধিকাংশ কৃষকের জমি উঁচু পাহাড়ি ভূমি। পানির পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এবং অন্যান্য ফসলের থেকে আখ লাভজনক হওয়ায় চাষিরা আখ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তাই কৃষকেরা অল্প জমিতেই আখ চাষ করে অধিক টাকা উপার্জন করে খুশি কৃষকরা।

আখ

জানা যায়, ঝিনাইগাতি উপজেলার নলকুড়া পাহাড়ি এলাকায় পানির অভাবে চাষিরা ধান চাষ করতে পারছেন না। তাই চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে গত কয়েক বছর যাবত আখ চাষ করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় আখ চাষ অনেক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন আখ চাষির সংখ্যা ও আখ চাষের আবাদ দিন দিন বাড়ছে।

চাষি আবুল হোসেন বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আখ চাষ করি। পানির ব্যবস্থা না থাকায় এখানে অন্য কোনো ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। তাই আখ চাষ করছি। আখ চাষে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি প্রায় ২ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো।

আসল কাশ্মীরি শাল চেনার সহজ উপায়

ঝিনাইগাতি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা, পাহাড়ি এলাকায় সেচ দিতে অসুবিধা হয়। আখ চাষে বেশি সেচ দিতে হয় না। আখ উৎপাদনে খরচ কম। তাই আখ চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের আখ চাষে বিঘাপ্রতি ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর কৃষকরা ৯০ হাজার থেকে প্রায় ১ লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারেন। এ বছর জেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে।